চিনে মারাত্মক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ (China Covid 19)। ফের ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে চিনের করোনা সংক্রমণের হার। মঙ্গলবার চিনে ১৪৪ জন করোনা সংক্রমিত হন। তাঁদের মধ্যে ১২৬ জন স্থানীয় ভাবে সংক্রমিত হয়েছে এই ভাইরাসের দ্বারা। গত সাত মাসে একদিনে এতজন করোনা আক্রান্ত হয়নি চিনে। এর জেরেই ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বেজিংয়ের কপালে। করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে এই দেশকেও।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বাসিন্দাদের ঘরের মধ্যে আটকে রাখছে চিন।সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল ছেয়ে গিয়েছে এই ঘটনার নানা ভিডিওতে। তাইওয়ান নিউজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী উহানে এই ভেরিয়েন্টের প্রকোপ শুরু হয়েছে। সাংবাদিক কেওনি এভারিংটন জানান প্রতি বাড়ির সদর দরজায় বসানো হচ্ছে লোহার
বেড়া বা রড, যাতে সেটা টপকে কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে না পারেন।
এভাবে আদৌ করোনা আটকানো যাবে কীনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ওয়েইবো, টুইটার এবং ইউটিউবে একাধিক ভিডিও পোস্ট হতে শুরু করেছে, যেখানে দেখা যায় যে হজমাট স্যুটে প্রশাসনিক কর্মীরা বাড়ির বারান্দা থেকে বাড়ির দরজায় লাগিয়ে রেখেছে লোহার বেড়া। টুইটার পোস্টে বলা হচ্ছে এমন নিয়ম করা হয়েছে, যাতে এই লোহার বেড়া স্বয়ংক্রিয় ভাবে লক হয়ে যাবে।
যদি কোনও বাড়ির বাসিন্দা দিনে ৩ বারের বেশি দরজা খোলেন, তবে এই বেড়া লক হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে পিপিই কিট পরিহিত বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তা হাতুড়ি দিয়ে লোহার বেড়া আটকাচ্ছেন। টুইটারে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি অ্যাপার্টমেন্টে ঢোকার আগে মাস্ক খুলে ফেলেছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে কোয়ারেন্টাইন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ইউটিউবে আপলোড করা একটি ভিডিয়োতে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, যদি কোনও ব্যক্তি দিনে তিনবারের বেশি দরজা খোলে, তবে তাদেরকে ঘরের মধ্যেই আটকে রাখা হচ্ছে। তাইওয়ান নিউজের একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পিপিই পরে একদল লোক একটি দরজার উপরে লোহার বার দিয়ে আটকে দিচ্ছে।
খবর মোতাবেক জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে কয়েক জায়গায় লকডাউনও জারি করা হয়েছে। আগে একসময় চিনে করোনা সংক্রমণ শূন্যতে নেমে এসেছিল। কিন্তু ডেল্টা ভেরিয়ন্টের কেস বাড়তেই চিন্তায় চিন।