দিল্লী সংলগ্ন বাহরি জেলার মুন্ডকা এলাকায় একটি তিন বছরের শিশুর সাথে করা ভয়াবহ নৃশংসতার কথা সামনে এসেছে। জানা গেছে এই দুষ্কর্ম করেছে শিশুটিরই প্রতিবেশী এক যুবক। মোটরসাইকেলে ঘোরানোর অজুহাতে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে যায় সে। তারপরেই শিশুটির সাথে লিপ্ত হয় অপকর্মে। অপকর্মের পর শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে ফেলে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মুন্ডকা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
বাহরি জেলা পুলিশ আধিকারিকদের মতে নিহত তিন বছরের শিশু, অভিযুক্ত রাহুলের (২২ বছর বয়সী) বাড়ির পাশেই এক বাড়িতে পরিবারের সাথে থাকত। বুধবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে যায় সে। সে শিশুটিকে ওল্ড পিভিসি মার্কেটে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে একটি নির্জন স্থানে শিশুটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। শিশুটি কাঁদতে শুরু করলে অভিযুক্ত ছুরি দিয়ে তার গলা কেটে ফেলে। ছুরিটা সে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক মদের নেশায় এই অপরাধ করেছে।
পুলিশ আধিকারিকদের মতে, শিশুটি দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না পৌঁছালে পরিবারের সদস্যরা পুলিশে খবর দেয়। পরিবারের সদস্যরা রাহুলের দ্বারা শিশুটিকে অপহরণের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরিবার আরও জানায়, রাহুলের সঙ্গে শিশুটিকে শেষবারের মতো দেখেছে তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পর ওই এলাকা থেকে রাহুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাহুলকে জেরা করে তার দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাহুল পিভিসি মার্কেটে কাজ করতেন।
অপরদিকে দক্ষিণ দিল্লির মালব্য নগরে দুই মাস বয়সী মেয়ে অনন্যা কৌশিককে খুনের ঘটনায় সামনে এল নতুন তথ্য। নির্দয় মায়ের অপরাধের বহর জেনে অবাক পুলিশকর্মীরাও। অভিযুক্ত মা ডিম্পল কৌশিক মেয়েটিকে চলন্ত ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে খুন করেছেন বলে জানা গেছে। শিশুটিকে হত্যার পর অভিযুক্ত মা বাচ্চার মৃতদেহ ১৬ ঘণ্টা বিছানায় শুইয়ে রাখেন। লোক জানাজানির ভয়ে তারপর শিশুকন্যার মৃতদেহ মাইক্রোওভেনে ঢুকিয়ে রাখে। দক্ষিণ জেলার ডিসিপি বেনিতা মেরি জ্যাকার বলেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। দক্ষিণ জেলা পুলিশের আধিকারিকদের মতে, দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ায় ডিম্পল ক্ষিপ্ত ছিলেন, তাই তিনি নির্মমভাবে মেয়েটিকে হত্যা করেছিলেন। পুলিশ এখন অভিযুক্ত মাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে পুলিশি রিমান্ডে নেবে। যাতে পুরো সত্য বেরিয়ে আসে।