অনলাইন গেমের আসক্তির কারণে শিশুদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর মারাত্মক পরিণতি এখন ক্রমশঃই সামনে আসতে শুরু করেছে। অনলাইন গেমে টার্গেট পূরণ না করতে পারার জন্য ভোপালে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র নিজেকে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। জানা গেছে শিশুটি জানত গলায় ফাঁস কিভাবে লাগায়। মোবাইলে এবং গেমে আসক্ত শিশুটি ইন্টারনেট থেকেই এই সমস্ত তথ্যাদি পেত বলে অনুমান। মায়ের সামনে বহুবার মহড়া দিয়েছে সে। মাকে দেখাতো কিভাবে ফাঁস হয়। গলায় দড়ি দিয়ে মাকে দেখালে মা ভীষণ বকাঝকা করে তাঁকে এসব করতে বারণ করে। কিন্তু হয়ত অনলাইন গেম ঘিরে বাড়ছিল শিশুটির মনের অবসাদ। এই কারণেই কি চূড়ান্ত পরিনতি?
বুধবার শিশুটি গলায় ফাঁস দেয়। ভোপালের শঙ্করাচার্য নগরে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেই ছাত্র। বাড়ির ছাদে রডের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্র। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছাত্র ফ্রি ফায়ার অনলাইন গেমে আসক্ত ছিল। সুযোগ পেলেই খেলাটা খেলত। দুপুরে পরিবারের লোকজন তাকে সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির বাবা একটি অপটিক্যাল দোকান চালান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পায়নি। একই সঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে, বাচ্চাটি যার নাম সূর্যাংশ ফ্রি ফায়ার গেম খেলত। এ জন্য তিনি বাড়ির পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার করতেন।
সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় শিশুটির মা-বাবা জানান, শিশুটি মোবাইলে গেম খেলায় আসক্ত ছিল। টিভিতেও গেম খেলতেন। গেমটি খেলার জন্য তিনি একটি গেমিং ড্রেস অর্ডার করেছিলেন। টিভিতেও বাচ্চাটি গেম সম্পর্কিত শো ই দেখত।
একই সময়ে, ভোপালের এমন ঘটনায়, এমপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন যে রাজ্য সরকার শীঘ্রই ফ্রি ফায়ারের মতো শিশুদের জন্য বিপজ্জনক অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করতে অনলাইন গেমস আইন আনতে চলেছে। নতুন আইনের খসড়া প্রায় প্রস্তুত এবং শিগগিরই তা বাস্তবায়িত হবে।