আবারও এক শিশুর প্রাণ গেলো কুসংস্কারের জন্য। পুকুরে পড়ে গিয়েছিল শিশুটি তাঁকে বাঁচাতে পুকুরের মধ্যেই চলছিল ঝাড়ফুঁক। অবস্থা সংকটজনক হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। মৃত্যু হল শিশুটির। যদিও হাসপাতাল খুব একটা দুরেও ছিলনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি (Kultali) এলাকার ঘটনাটি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলি থানার জামতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে , বাইরে খেলতে গিয়েছিলো শিশুটি আর খেলতে খেলতেই পুকুরে পড়ে যায় সে। তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে জলের মধ্যেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে চললো ঝাড়ফুঁক! জল দৈত্যকে লাঠি পিটিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করেছে ওই গুনিন। এমনকি ওই পুকুরের চারধারে আগুনও জ্বালানো হয়। তীব্র কষ্টে যখন জলের মধ্যে খাবি খাচ্ছিলো শিশুটি ঠিক সেই সময়ই ভুত তাড়ানো চলছিল জলের মধ্যে! শিশুটির অবস্থা যখন বেশ সংকটজনক হয় তখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে কিন্তু ততক্ষনে সে মৃত।
এ বিষয়ে সুপর্ণা কণ্ঠি কুলতলি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী বলেন, “শিশুরা এলাকায় জলে পড়ে গেলে তাদের হাসপাতালমুখী করানোর জন্য বিভিন্নভবে প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু মানুষ এখনও ওঝা-গুণিনের উপরেই নির্ভর করছে তাতে গুরুত্ব না দিয়ে। যে কারণে ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।”
অন্যদিকে সময়মতো শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো সম্ভব হতো বলেই মত চিকিৎসকদের। কারণ, এক্ষেত্রে প্রথম কাজ পেট থেকে জল বের করাই । যা একমাত্র হাসপাতালেই সম্ভব। কুলতলি ব্লক হাসপাতালে বি এম ও এইচ চিকিৎসক চিত্রলেখা সরদার এই বিষয়ে বলেন, “ বাচ্চাটিকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে আনলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটত না। বাচ্চাটিকে হাসপাতালে আনার জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী এলাকার মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। প্রথমে কেউ তা শোনেননি।