পুলিশ জানিয়েছে , এক মহিলা ছোট্ট শিশুকে রেখে গিয়েছিলেন পাশের সুইচ বোর্ডে চার্জে দেওয়া মোবাইলের পাশে। মাত্র ছয় মাস আগেই কেনা হয়েছিল চার্জে বসানো সেই কি-প্যাড ফোনটি। কিন্তু সেই ফোনটি চার্জে বসানোর সাথে সাথেই ফেটে যায়। ওই ঘটনার সময় মা কুসুম কাশ্যপ মাস আটেকের শিশু নেহার ঘরেই ছিলেন না। বীভৎস এক শব্দ হতেই কুসুমের বড় মেয়ে নন্দিনী ভয়ে কেঁদে ফেলে। শব্দ শুনে তড়িঘড়ি পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন মা। দেখেন তার ছোট্ট মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তার মুখের একটা অংশ প্রায় পুড়ে গিয়েছে। তাকে তাই সাথে সাথেই বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই অবস্থায়। অবশ্য নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয় চিকিৎসকেরা।
অবশ্য এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও সঠিক কারণ পায়নি । যদিও পরিবারের দাবী , এরকম একটা দুর্ঘটনার কারণ মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্যদের গাফিলতিই । কারণ একজন ছোট শিশুর পাশে কি করে একটা মোবাইল চার্জে বসিয়ে রেখে ঘর থেকে বাইরে চলে যেতে পারে? সেখানে পরিবারের একজন সদস্যের তো থাকার প্রয়োজন। আজকাল প্রায়ই এমন অনেক ঘটনা ঘটছে। ফোন চার্জে বসানোর পর ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনার নজির কম নেই। কিন্তু এমন ঘটনার পরও কি করে এতটা গাফিলতি হয় সেটাই ভাবার ব্যাপার।
পুলিশ জানিয়েছে , শ্রমিকের কাজ করেন ওই মৃত শিশুর বাবা সুনীল কুমার কাশ্যপ। তারা থাকেন যে বাড়িতে সেটি পুরোপুরি তৈরি হয়নি। ঘরের আলো জ্বালা থেকে সোলার এবং বড় ব্যাটারির প্লেট দিয়ে মোবাইল চার্জ করতেন সবাই। এমন দুর্ঘটনা এর ফলেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ওই পরিবারের। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।