বাড়ির বাইরে আপন মনে খেলছিল দেড় বছরের শিশু। বাড়ির লোকও নিশ্চিতে ছিল একরত্তি আশেপাশেই খেলছে ভেবে। কিন্তু কিছুক্ষণ কেটে গেলে শিশুটির সাড়াশব্দ না পেলে বাড়ির লোক শিশুটির খোঁজ শুরু করে। কোথায় যাবে এই টুকু দুধের শিশু। খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎই চোখে পড়ে আঁতকে ওঠে পরিবারের লোকজন। মুহূর্তেই বদলে যায় পরিবেশ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলিতে।
বুধবার সকালে বাড়ির কিছুটা বাইরে বেরিয়ে আপন মনে খেলছিল দেড় বছর বয়সী অর্ঘ সরকার। অনেকক্ষণ সময় কেটে গেলেও তাঁকে ফিরতে না দেখে অর্ঘের খোঁজ খবর শুরু করে তার বাড়ির লোকজন। খুজেঁ দেখেই আঁতকে ওঠে বাড়ির লোক। দেখতে পায় বাড়ীর সীমানার বাইরেই নির্মীয়মান একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে অর্ঘের নিথর দেহ।
এই দৃশ্য দেখে বাড়ির লোকেরা আর্ত চিৎকার করে ওঠে। চিৎকারের আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরাও। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটি। দ্রুত শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ইমামবাড়া হাসপাতালে। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা জানায় শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পরও বাড়ির লোকেরা মেনে নিতে পারেনি শিশুটির মৃত্যু। তাকে নিয়ে ছুটে যায় এক হোমিওপ্যাথি চিকিত্সকের কাছে। তিনিও শিশুটিকে পরীক্ষা করে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথে সহমত প্রকাশ করেন। শিশুটির এই ভাবে অকাল প্রয়াণে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে।
মৃত শিশু অর্ঘ সরকারের পিতার নাম অনন্ত সরকার। জানা গিয়েছে অনন্ত সরকারের বাড়ির পাশেই বাড়ি তৈরি করছিলেন প্রকাশ সরকার নামক এক ব্যক্তি। সেই নির্মীয়মান বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরী হওয়া অবস্থায় ছিল। সেটিতে কেন কোনো ঢাকনা দেওয়া ছিল না? প্রশ্ন শিশুটির প্রতিবেশীদের। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে উত্তেজনাও তৈরী হয়। উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।