প্রতিনিয়ত দেশে বেড়েই চলছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। এই ক্রমবর্ধমান পথ দুর্ঘটনা নিয়ে বেশ চিন্তিত প্রশাসন ও সরকারও। তাই এবার দুর্ঘটনা কম করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবহন দফতর থেকে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা এমনটাই জানা গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গাড়ি বানানো এবং গাড়ির নানা ফিচারস এ বেশ কিছু বদল আনা হচ্ছে। তাই জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল আরও সুরক্ষিত করতে বেশ কিছু অদল বদল নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় পরিবহন দফতর। এই নয়া নির্দেশিকায় আছে বাইক চালকদের জন্যও বেশ কিছু নতুন নির্দেশ। বিশেষত বাইক চালকদের পিছনের সিটে যে ব্যক্তি বসবেন তাকে এখন থেকে সরকারের নির্দেশ মত মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। জেনে নিন কি কি উল্লেখ করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
১. বাইকের পেছনের সিটে হ্যান্ড হোল্ড লাগানো:
পরিবহন দপ্তরের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে বাইক চালকের ব্যাক সিটের দুই পাশেই হ্যান্ড হোল্ড লাগানো এখন থেকে বাধ্যতামূলক। সড়ক পথে বাইকের পেছনের সিটে বসা আরোহীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাইক চালক যদি হঠাৎ ব্রেক চাপে তখন এই হ্যান্ড হোল্ড সাহায্য করবে পেছনে বসে থাকা ব্যক্তিকে। চালকের পেছনের সিটে বসা আরোহীর জন্য তার পায়ের দুই পাশেই পাদানি রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও বাইকের পেছনের চাকার বাম দিকে অর্ধেক অংশে লাগিয়ে রাখতে হবে কভার গার্ড। বাইকের পেছনের চাকায় মহিলাদের কাপড় বা গলার ওড়নাকে জড়িয়ে দুর্ঘটনার থেকে বাঁচাবে এই গার্ড। আগে এই সমস্ত ব্যবস্থা গুলি ছিল না বাইকে।
২. বাইকের কন্টেনারের নিয়ম বদল:
বাইকের পেছনে রাখা কন্টেনারেও নিয়ম কিছু পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় পরিবহণ দফতর। বাইকের কন্টেনার এর মাপ কম করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্টেনার এর দৈর্ঘ্য ৫৫০ মিলিমিটারের , প্রস্থ ৫১০ মিলিমিটারের এবং উচ্চতা ৫০০ মিলিমিটারের বেশি হওয়া যাবে না। এই মাপের উপরে বড় কন্টেনার রাখলে বাইকের পিছনের সিটে আরেকজন বসতে পারবে না। বাইক চালককে তখন একাই বাইকে চড়তে হবে।
৩. টায়ার নিয়ে নতুন নির্দেশ:
বাইকে সর্বোচ্চ ৩.৫ টন ওজন পযর্ন্ত গাড়িতে টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম রাখার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এই প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম আসলে একটি সেনসর সিস্টেম। এই নতুন সিস্টেমে সাহায্যে গাড়ির চাকায় কোন সময় কতটা হাওয়া মজুত রয়েছে তা বোঝা যাবে। এছাড়াও গাড়িতে সর্বক্ষণ টায়ার সারাবার টুলকিট যেন থাকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।