চলতি আর্থিক বছরের কেন্দ্রের তরফে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে নেওয়া হল কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত৷ আগের জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকের প্রায় ৬ মাস পরে হল এবারের জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। দেশের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেলথ সেক্টরকে করমুক্ত রাখতে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় প্রয়োজন এমন পণ্যে জিএসটি ছাড় দিয়েছে ভারতের অর্থমন্ত্রক।
জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল করোনার মোকাবিলা। এই বৈঠকে পর্যালোচনার পর ২০২১ এর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করোনার ত্রাণসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোভিডে চিকিৎসায় লাগে এমন সরঞ্জামের উপর অ্যাডহক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কোভিড-এর বিরুদ্ধে মোকাবিলায় ভীষণ প্রয়োজনীয় পণ্যগুলিকে ‘জিরো রেটিং’ বা সম্পূর্ণ কর ছাড় দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। যদিও করোনা প্রতিষেধকের উপরে জিএসটি কমানো হবে না এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি করোনা চিকিৎসায় লাগে বিভিন্ন ওষুধের উপরেও কর লঘু হবে না। এই বিষয়ে অনড় থাকে কেন্দ্র।
তবে এর পরেই বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের জোরাজুরিতে সিদ্ধান্ত বদলান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কোভিড ভ্যাকসিনের যাতে কর কমানো যায় এই বিষয়টি মন্ত্রীগোষ্ঠীর কাছে পাঠানো হবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ৮ই জুনের মধ্যে এই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো জানানো হবে। পাশাপাশি দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ফাঙ্গাস রোধে কার্যকরী অ্যামফোটেরিসিন বি এই ওষুধটিকে জিএসটি ছাড়ের তালিকায় রাখা হয়েছে। যদিও জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শেষে একাধিক অর্থমন্ত্রী দের তরফে সন্তুষ্টি দেখা যায়নি। তাদের অভিযোগ এই সরকারের সহানুভূতির অভাবের কারণেই কোভিড মোকাবিলার সামগ্রীর জিএসটিতে চার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে সরকার।