রাজ্য সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দুর্নীতি ঘিরে আবারও আবারও তৎপর সিবিআই। দ্রুততার সাথেই এগোতে দেখা যাচ্ছে সিবিআই কে কয়লাপাচার কাণ্ডে। বুধবার দিন খুব সকালে সিবিআই হাজির রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের (West Bengal State Minister Malay Ghatak) বাড়িতে। এখনও খবর পাওয়া পর্যন্ত সব মিলিয়ে আসানসোলের মোট তিনটি বাড়িতেই সিবিআই হানা দিয়েছে আজকে। অবশ্য শুধু আসানসোলেই থেমে নেই অবশ্য সিবিআই এর অভিযান। কলকাতার আরও চার জায়গায় হানা দিয়েছে তারা একই সাথে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই অভিযান এই কয়লা পাচার সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেতেই।
আসানসোলে মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সকাল ৮টা নাগাদ সিবিআই ও সিআরপিএফ আধিকারিকরা পৌঁছে যায়। পুরো বাড়িটাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলে। সিবিআই অনুমতি নিয়েই তল্লাশি শুরু করেছে। অবশ্য এই মুহূর্তে বাড়িতে মন্ত্রী নেই। সূত্রের খবর এই মুহূর্তে তাঁর স্ত্রী এবং পরিচারক-পরিচারিকারা রয়েছেন। আসানসোলে তাঁর অফিস, পৈতৃক বাড়িতেও এরপর তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে প্রতিটি বাড়ির বাইরে। এদিকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা।
একাধিক ব্যক্তিকে কয়লা পাচারের তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে জেরা করার পর। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যের আইনমন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। আসানসোলের বাড়িতে হানা দিল সেই সূত্র ধরেই নথির খোঁজে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
তল্লাশি সকাল সোয়া আটটা থেকে শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বেলা ন’টা নাগাদ বেরিয়ে যান তদন্তকারীর। আরও দুটটি বাড়ি রয়েছে আসানসোলে মন্ত্রীর। সেখানেই সিবিআই হানা দেয়। মন্ত্রীর অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে নিউ আলিপুরের কলকাতার ব্যবসায়ী প্রতীক দিওয়ানের বাড়ি-সহ মোট তিনটি জায়গায়া চলছে তল্লাশি।
একাধিকবার মলয় ঘটককে ইতিপূর্বে তলব করেছিল সিবিআই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জেরা করেছিল। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল দিল্লির ইডি দপ্তরে। জিজ্ঞাসাবাদ প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে চলে। মন্ত্রীর বয়ান ইডি আধিকারিকরা রেকর্ড করেন। প্রয়োজনে ফের তাঁকে তলব করা হবে পরবর্তী সময়ে বলে ইডি সূত্রে খবর। মলয় ঘটককে এর আগে দু’ বার সমন পাঠিয়ে তলব করেছিল। তবে সমন পেয়ে এদিন তৃতীয়বার হাজিরা দিয়েছিলেন।