ফুলসজ্জার রাতে নববধূর অপেক্ষা করছিলেন বর, এদিকে ভাইয়ের বাইকে চড়ে ফেরার হলেন কনে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সামনে এসেছে বিহারের মতিহারি থেকে, যেখানে ফুলসজ্জার ঠিক আগের মুহূর্তে কনে নিজের সঙ্গে ৪ লাখ টাকা মূল্যের গয়না, দেড় লাখ নগদ টাকা ইত্যাদি নিয়ে ভাইয়ের বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।
বিহারের মতিহারিতে পাত্রীর এমন কাণ্ড এখন সকলের মুখে মুখে। ফুলসজ্জার আগে বরকে এমনভাবে প্রতারণা করলেন কনে যা সারাজীবনও বোধহয় ভুলতে পারবেন না বর। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ কনে তার ভাইয়ের সাথে বাইকে করে বিয়ের জন্য নির্মিত ৪ লাখ টাকার গহনা, নগদ ১.৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
বিহারের পাকদিদয়াল থানা এলাকার ধনৌজি পঞ্চায়েতের হরনাথপুর পরসৌনির বাসিন্দা রামনাথ সাহের মেয়ে মুন্নি কুমারীর সঙ্গে গত ৯ই মে হিন্দু রীতি অনুযায়ী যোগী সাহের ছেলে আনন্দ কুমারের বিয়ে হয়। বিয়ের দুদিন যেতে না যেতেই আনন্দ কুমার পাকড়িদয়াল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে জানান, কনে তার স্বামী আনন্দ কুমারের সাথে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি আসেন, এবং ওইদিনই রাত ১১টার দিকে কনের ভাই কৃষ্ণ সাহ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে বোনের শ্বশুরবাড়িতে এসেছিল।
বর এবং তার পুরো পরিবার কৃষ্ণ সাহকে যথেষ্ট অ্যাপায়ন করে। গভীর রাতে তিনি অন্য ঘরে ঘুমাতে যান। এরপর রাত একটু বাড়লে সুযোগ বুঝে কনে মুন্নি কুমারী তার ভাই কৃষ্ণ সাহ সহ গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।প্রতারিত বর পুলিশকে জানান, গভীর রাতে মোটর সাইকেলের শব্দ শুনে তিনি উঠে দেখেন কনে ও তার ভাই বাড়িতে নেই এবং মূল্যবান জিনিসপত্রও নেই। যৌতুকে তিনি যে নতুন বাইকটি পেয়েছিলেন সেটিও সেখানে ছিল না। ভিকটিম আনন্দ কুমার বলেন, এই ঘটনার পর তার পক্ষে বাড়ি থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, তিনি বিচার চান।