এক মাঠ থেকে এক বালকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া গেল নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরই। এই ঘটনা জানাজানির পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের নরওয়ালের বাসিন্দারা। খবর অনুযায়ী ওই মৃত বালকের বয়স মাত্র ৯বছর। ওই বালকের পরিবার আর আসে পাশের বাড়ির লোকেদের মতে ওই বালকের যৌন নিগ্রহ হয়েছে আর তারপরই খুন করা হয়েছে। তারপর বাড়ির মাত্র ৩০০ মিটারের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে।
ছেলেটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পেরেক পুঁতে তার একটি চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে! সিগারেটের ছ্যাঁকার দাগও রয়েছে বালকের ডানদিকের গালে। দড়ি বা ওই জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে তার গলায়, ঘাড়ে পেঁচিয়ে ধরার দাগও স্পষ্ট বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা যখন বালকের দেহটি খুঁজে পান, তখন কোনও পোশাকও ছিল না দেহে। এবং যে মাটির উপর দিয়ে দেহটি টেনে ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই দাগও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। বাসিন্দাদের যা দেখে অনুমান, প্রথমে ছেলেটিকে অন্য কোথাও তুলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচার করা হয়েছে তার উপর এবং তারপর তাকে খুন করে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে।
তন্ত্র সাধনারও যোগ থাকতে পারে এই ঘটনার সঙ্গে বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছেন, এই গ্রামে ২০২০ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ৭ বছরর এক বালিকাকে প্রাণ খোয়াতে হয়েছিল। এবারও ছেলেটির দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, পুজোর ফুল পাওয়া গিয়েছে তার আশপাশে। এছাড়া, নানা ধরনের আঁকিবুকিও দেখতে পেয়েছেন মাটির উপর বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত চার যুবককে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ধৃতরা এই এলাকারই বাসিন্দা সকলেই। একইসঙ্গে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ২০১ নম্বর ধারায় FIR দায়ের হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রর উপর নৃশংস যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে খুনের আগে। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয় এই বিষয়ে। আপাতত অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা সেই রিপোর্টের জন্যই। সংশ্লিষ্ট মামলার সঙ্গে POCSO-র আওতায় আরও একাধিক ধারা যুক্ত করা হবে পুলিশের এই অনুমান সঠিক প্রমাণিত হলে।