মর্গের সামনে মরদেহ নিয়ে যাবে বলে দুজন স্ত্রী খাট নিয়ে হাজির হলেন। দেহ কে নেবেন তাহলে? এই নিয়ে এক বৃদ্ধের মরদেহ নিয়ে টানাপোড়েন চলতে থাকলো মর্গের সামনে। আর তার জেরে দিনের পর দিন নদিয়ার শক্তিনগর পুলিশ মর্গে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের দেহ।
হরেন হালদার নদিয়ার (Nadia) কোতয়ালি থানার কৃষ্ণনগরের চাঁদমারির বাসিন্দা পেশায় মাছ ব্যবসায়ী। পরিজনদের দাবি, গত রবিবার নিজের বাড়িতেই মারা যান বছর ষাটের ওই বৃদ্ধ। হার্ট অ্যাটাকেই মারা গিয়েছিলেন বলেই পরিজনদের দাবি। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ওই বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাই শক্তিনগর পুলিশ মর্গে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
শেষমেষ তার ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। তবে দেহ কে নেবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েন চলছে। কারণ, চারজন স্ত্রী ওই বৃদ্ধের। মৃত্যু হয়েছে দু’জন স্ত্রীর। তবে এখনও জীবিত বাকি দু’জন। আর দেহ ফেরত নেওয়ার জন্য শক্তিনগর পুলিশ মর্গের সামনে হাজির হন সেই দু’জনই। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি একজন স্ত্রীর কাছে । দীপালি হালদার নামে আরেক মহিলাও ওই বৃদ্ধের স্ত্রী বলেই নিজেকে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, “ চারজন স্ত্রী ছিলেন আমার স্বামীর। আগেই মারা গিয়েছেন দু’জন স্ত্রী। বর্তমানে প্রথম পক্ষ আমি। আমার সঙ্গেই স্বামী থাকতেন। আমি পরিচারিকার কাজ করি টালিগঞ্জে। তাতেই যা আয় হত, সংসার চলত তা দিয়েই।”
আরও অভিযোগ ওই মহিলার, বিয়ের বৈধ প্রমাণপত্র তাঁর কাছে থাকা সত্ত্বেও দেহ দেওয়া হচ্ছে না। আপাতত দীপালি হালদার স্বামীর দেহের সৎকার করতে চান। তাই তিনি দেহ ফেরতের দাবিতে সরব। শক্তিনগর পুলিশ মর্গের সামনেই অপেক্ষায় দীপালি দেহ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত।