সার্কাস দেখতে গিয়েছিল মেয়ে, ফেরার পথে বাবার জন্য এক প্যাকেট বিরিয়ানিও এনেছিল। তারপরই নাবালিকা ওই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ঘটালেন এক মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবার রীতিমতো হতবাক এই ঘটনায়। রহস্যজনক এই ঘটনাটি বনগাঁ থানার মেদিয়াপাড়া এলাকায় ঘটেছে।
পুলিস ও স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই ছাত্রী একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত ছিল কালোপুর পাঁচপোতা হাইস্কুলে। পাড়ার বন্ধু ও দাদাদের সাথে বৃহস্পতিবার রাতে সার্কাস দেখতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সার্কাস থেকে ফেরার পথে এক বাড়ির পাশের দোকান থেকে বিরিয়ানি কিনে আনে। সেই বিরিয়ানি বাবাকে খেতেও দেয়। তারপরই ওই ছাত্রী নিজে ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীর বাবা রাত ১১টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখেন যে, আলো জ্বলছে মেয়ের ঘরে। আলো নেভানোর জন্য অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি দেখে সন্দেহ হয় তার।
পাড়ার লোকজন ডেকে তারপর দরজা ভেঙে দেখেন, মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে পরিবার এবং স্থানীয়রা বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাকে। পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীর সাথে তার কয়েকজন বন্ধুর গতকাল রাত ১০টা নাগাদ ফোনে ঝগড়া হয়। তারপর থেকেই একটু মনমরা হয়েছিল ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে বন্ধুদের সাথে ঝগড়ার কারণেই বলে দাবি পরিবারের। মৃতার দিদি এই বিষয়ে বলেন, ” কারও সম্পর্ক ছিল হয়তো আমার বোনের সাথে। কোনও পারিবারিক অশান্তি না থাকলেও, সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই হয়তো বোন আত্মঘাতী হয়েছে।”
এই ঘটনায় বনগাঁ থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে, ওই ছাত্রীর সাথে একটি ছেলের ছবির উল্লেখ করা হয়েছে যে ছবি ওই ছাত্রীর ফোন থেকে পাওয়া গেছে। সেই ছেলেটি এই ঘটনার পিছনে কোনওভাবে জড়িত কিনা, পরিবার সেই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। বনগাঁ থানার পুলিস লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।