ইউরি তোলোচকোও তিনি কাজাখস্তানের পেশাদার বডি বিল্ডার। তাঁর চিন্তাভাবনা এবং তৃপ্তি পাওয়ার ধরন যৌনতা নিয়ে বেশ অন্যরকম পথে হাঁটে। তাঁর যে একটু অদ্ভুত রকমের যৌনতা পছন্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলাখুলি ঘোষণা করেছেন।
প্রথম তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন। ওই সময় তিনি বিবাহ করেছিলেন ‘মার্গো’ নামে একটি সেক্স ডল বা যৌন পুতুলকে। তারপর তাদের বিচ্ছেদও হয়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বীকারোক্তি বলছে যে য়ুরির ভারি শরীরের চাপ এবং উদ্দাম যৌনতা সহ্য করতে পারেনি মার্গোর কোমল শরীর; ভেঙে গিয়েছে! তারপর যৌনতৃপ্তির অন্য মাধ্যম খুঁজছেন য়ুরি! তিনি আরও দুটি সেক্স ডল-এর সঙ্গে একটি থ্রিসাম অর্থাৎ ত্রয়ী সম্পর্কে ছিলেন প্রথম পুতুল স্ত্রী সঙ্গে বিচ্ছেদের পর।
তবে য়ুরি কিন্তু সত্যিই ভালোবাসেন মার্গোকে! পুতুলটা সারাতে দিয়েছেন তিনি ফেলে না রেখে। এবং বেশ মনখারাপ করেই জানিয়েছেন যে মার্গোর সঙ্গে শারীরিক মিলনের ব্যাপারে তাঁকে একটু যত্নশীল হতে হবে এবার থেকে। একবার তাঁর আরও কয়েকটা সেক্স ডল কিনলে হয় বলে মনে হয়েছে! এখন তিনি অন্য একজনের প্রেমে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন। না, কোনও মানুষ নয় সে । তিনি আগের দুইবারের মতো এবারও এক জড় পদার্থের প্রেমেই হাবুডুবু খাচ্ছেন। প্রয়োজনে পুরুষের বহুবিবাহ বৈধ কাজাকিস্তানের প্রচলিত রীতি অনুসারে! কিন্তু তার ঠিক পরেই লিখেছেন য়ুরি- খারাপ লাগতে পারে এটা মার্গোর, তাই এবার তাঁর চিকেন টয় চাই!
একটি ছাল-ছাড়ানো মৃত মুরগির শরীরে যৌনসুখ খুঁজতে দেখা গিয়েছে কাজাকিস্তানের এই সেলিব্রিটি বডিবিল্ডারকে Instagram-এর একটি ভিডিওতে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে যে কখনও পায়ের ফাঁকে মুরগির শরীরটা রেখে, কখনও বুকে জড়িয়ে ধরে, অটোনোমাস সেন্সরি মেরিডিয়ান রেসপন্স (Autonomous Sensory Meridian Response) উপভোগ করছেন য়ুরি কখনও বা সারা শরীরে বুলিয়ে। মাঝে মাঝে অস্বস্তির কারণ হলে কাঁচা চামড়া নানা লোশন মাখিয়ে তা মোলায়েম করে নিচ্ছেন য়ুরি। আর সেই জায়গা থেকেই তিনি বেশি উৎসাহী চিকেন টয়ের ব্যাপারে। কেন না, তাতে যেমন বেশি স্পর্শসুখ, তেমনই বিতর্কও এড়ানো যায় পশুর মৃতদেহ ব্যবহারের।