সেই মর্মান্তিক দিন থেকে প্রায় কেটে গিয়েছে ১৬ বছর ! এই বাড়িতে সেনা বাহিনীতে কর্মরত ছেলের খোঁজ ছিল না এতদিন । সেই ছেলে পর্বত আরোহনে গেছিলো সেনাবাহিনীর তরফ থেকে আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে। সেনাবাহিনীর সেই সেনার নাম ল্যান্স নায়েক অমৃশ ত্যাগী। এই দীর্ঘকাল পর সেই সেনার খোঁজ পাওয়া গেলো। অমৃশের পরিবারের কাছে পাঠানো হলো তার মৃতদেহ এই দীর্ঘকাল পর। পরিবারের সকলের সম্মুখে অমৃশের শেষকৃত্ত সম্পন্ন হয় গত মঙ্গলবার।
পরিবার সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী , ১৬ বছর আগে, ২০০৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ল্যান্স নায়েক অমৃশ ত্যাগী যখন যোশীমঠে পর্বত আরোহন করে ফিরছিলেন তাঁর তিন সহকর্মীর সঙ্গে , তখন দুর্ঘটনার মুখে পড়েন।
গভীর খাদে পড়ে যান অমরীশ সহ ৪ জনই । অমরীশের দেহ তখন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি তিন জনের দেহ উদ্ধার করা গেলেও। অবশেষে হারসিল সেক্টর থেকে ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঠিক ১৬ বছর পর অমরীশের দেহ উদ্ধার করা হয়। অমরীশের ভাই ভিনেশ ত্যাগী জানান, ‘ সেনা বাহিনীর কিছু আধিকারিক দুদিন আগে আমাদের বাড়িতে আসে ও দেহ উদ্ধারের কথা জানায়। এরপর উদ্ধার হওয়া দেহে পাওয়া কিছু জিনিসপত্র দেখে আমি আমার ভাইয়ের দেহ সনাক্ত করি।’ জানা যায়, এই দুর্ঘটনার ঘটনাটি যখন ঘটেছিল, অমরীশের বিয়ে তার ঠিক দেড় বছর আগে হয়েছিল। যখন অমরীশের নিখোঁজ হওয়ার খবর আসে, তার স্ত্রী তখন অন্তস্বত্ত্বা ছিলেন। পরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয় অমরীশের ।
ল্যান্স নায়েকের ভাই জানান, এতদিন তাঁর ভাইয়ের কোনও শ্রাদ্ধ শান্তি হয়নি তাঁদের ভাই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায়। অমরীশের দেহ গাজিয়াবাদে মুরাদনগরে তাঁর গ্রাম হিসালীতে গত মঙ্গলবার এলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। অমরীশের স্ত্রী ও তাঁর মেয়েও আসেন। শেষ বিদায় জানানো হয় সেনার চোখের জলে। অমরীশের ভাই ভিনেশ জানান, ৪ বছর আগেই তাঁদের মা মারা গেছেন। তবে তাঁর বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত, ওর ছেলে ফিরে আসবে। কেউ যাতে তাঁর পরিবারের সেনাবাহিনীতে না যান, তিনি সেই কথাও জানিয়ে গিয়েছিলেন। শেষের দিকে খুবই মুছড়ে পড়েছিলেন দীর্ঘদিন ছেলে ফিরে না আসায় ।