বলা হয় শখের দাম লাখ টাকা। শখ করে মানুষ কতকিছুই কেনে প্রচুর টাকা ব্যয় করে। কিন্তু শখ মেটাতে গিয়ে প্রচুর টাকা ব্যায় করার পর যদি দেখা যায় হয়ে গেছে প্রতারণা তখন কেমন লাগে? ঠিক এমনটাই হয়েছে এই ব্যবসায়ী রমেশের সাথে।
দীর্ঘ সময় ধরে শখ ছিল একটা কালো কুচকুচে ঘোড়া রাখার। বহুদিন এমন একটি ভাল জাতের কালো ঘোড়ার খোঁজে ছিলেন তিনি। হন্যে হয়ে খোঁজার সময় আলাপ হয় এক ঘোড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে। রমেশ ব্যবসায়ীদের কাছে জানান তিনি একটি উৎকৃষ্টমানের কালো ঘোড়ার খোঁজ করছেন। ঘোড়ার ব্যবসায়ীরা তাকে জানান তার চাহিদা মতন কালো কুচকুচে ঘোড়া তাকে জোগাড় করে দেওয়া হবে। এরপরে একদিন সত্যি সত্যিই একটি জৌলুস ময় কালো ঘোড়া নিয়ে ব্যবসায়ী রমেশের কাছে আসেন জিতেন্দ্র পাল সিংহ সেখোঁ, লখিন্দর সিংহ এবং লাচরা খান নামে ওই তিন ঘোড়ার কারবারি।
ঘোড়াটি দেখে মনে মনে ভীষণ খুশি হন রমেশ। ভাবলেন সত্যি সত্যিই এতদিনে হয়তো তার শখ পূরণ হতে চলেছে। উন্নতমানের এই ঘোড়ার দাম মেটাতে ঘোড়ার কারবারিদের প্রথমে নগদে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেন রমেশ। পরে বাকি টাকার দু’টি চেক প্রদান করেন। ঘোড়া বাবদ মোট ২৩ লক্ষ টাকা তাদের দেন।
এর পরই ঘোড়াকে স্নান করাতে গিয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি। ঘোড়াটিকে ক্রয় করার দিন কয়েক বাদে সেটিকে ভাল করে জল ঢেলে স্নান করানোর কথা ভাবেন রমেশ। রগড়ে রগড়ে তাঁর শখের কালো ঘোড়া কে যখন স্নান করাচ্ছিলেন, হঠাৎই দেখতে পান সেই ঘোড়ার গা থেকে কালো রং উঠছে। প্রথমে রমেশ বুঝতে পারেনি ভেবেছিলেন হয়তো ঘোড়ার গায়ে ময়লা জমেছে সেই কালো জল। কিন্তু কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই স্পষ্ট হয়ে গেল পুরো বিষয়টা। গা থেকে সব রঙে উঠতে উঠতে একটা সময় দেখা যায় ঘোড়া আর কালো রংএর নেই। সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটি লাল রঙের ঘোড়া। বুঝে যান চূড়ান্ত প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। লোমে রং করে তাকে কালো ঘোড়া বিক্রি করা হয়েছে।
এর পরই পুলিশের কাছে যান রমেশ। তিন ঘোড়া কারবারির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ তদন্ত করছে।