২০১৭ সালে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন মুকুল রায়। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে বয়ে গেছে বহু জল। গত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপির হয়ে দাড়িয়ে জয় লাভ করেন মুকুল রায়। কিন্তু এরপর থেকেই বেসুরো মুকুল। ক্রমশই বাড়ছিল জল্পনা।
এরপরই দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর নিজের ‘ঘরে’ ফিরলেন মুকুল রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ ত্যাগ করে সরাসরি শুভ্রাংশু সহ তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল রায়। আর বিজেপিতে মুকুল বিদায় হতেই তালমাতাল গেরুয়া শিবির। বঙ্গ বিজেপি তে মিলছে নানা প্রতিক্রিয়া , কেউ বা মুকুল রায় কে মীরজাফর বলছেন , আবার কেউ বলছেন, ‘বিজেপিতে লবিবাজির শিকার হয়েছেন তিনি’, কারো আবার বক্তব্য ‘ এতে কোনও ক্ষতি হবে না’।
মুকুলকে ঠিক কি কি বক্তব্য বিজেপির তরফে , জেনে নিন
মুকুলকে মীরজাফর বলে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ সরাসরি আক্রমণ শানান। বলেন, ‘মুকুল রায়, তিনি কোনও চাণক্য নন, মীরজাফর উনি। এটা প্রমাণিত হয়ে গেল আজ ।’
অবশ্য বিষয়টির মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঢোকেননি সেভাবে। বিজেপির অন্দরে মুকুল রায় ও তাঁর সংঘাত কারও অজানা নয়। এদিন সেই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখন জল্পনা কল্পনা, গান গাওয়ার সময় নেই। সন্ত্রাসের শিকার আমাদের অনেক কর্মী। অনেকে ফিরতে পারেননি ঘরে। আপাতত তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত।
ট্যুইট করেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তও । সেখানে তিনি মুকুলের দলত্যাগকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। লেখেন, ‘ এটা বঙ্গ বিজেপির কাছে একটা শিক্ষা। এর জন্য কোনও প্রয়োজন নেই ঘাবড়ে যাওয়ার। বিজেপি ২ কোটি ২০ লক্ষ ভোট পেয়েছে। সেই শক্তিতে ভর করেই আমরা এগোব সামনের দিকে।’ অবশ্য গোটা বিষয়টিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ এড়িয়ে গিয়েছেন।
অবশ্য মুকুল কে সমর্থন করেছেন অনুপম হাজরা। বিজেপির ‘লবিবাজি’ নিয়ে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোষ্ট শেয়ার করেন তিনি। লেখেন, ‘নির্বাচন চলার সময় ২-১ জন নেতাকে নিয়ে অত্যধিক মাতামাতি এবং অধিক যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লবিবাজি করে অন্যদের বসিয়ে রেখে অবজ্ঞা বা অপমান করার করুণ পরিণতি!!!
পাশাপাশি আরও লেখেন এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি , বঙ্গ বিজেপির উচিত লবিবাজি বন্ধ করে যোগ্যতা অনুসারে বসে থাকা নেতাদের কাজে লাগানো।’