লোহার বিদ্যুতের খুঁটিতে বসলেই ছটপট করে মারা যাচ্ছে পাখিরা। দৈনিক পাখি মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে রায়গঞ্জ (Raygung) শহরের ফোয়ারা মোড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া পাখিদের ঝাঁকে ঝাঁকে মৃতদেহ পিষে যাচ্ছে যানবাহনের চাকা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে মর্মান্তিক এই দৃশ্য দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিদ্যুৎ দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পশুপ্রেমীরা।
রায়গঞ্জ শহরে একটি নির্দিষ্ট ইলেকট্রিক পোলে বসলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে পাখির দল। প্রতিদিনই প্রায় আট থেকে দশটি পাখি মারা যাচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা রায়গঞ্জের পুর এলাকার ফোয়ারা মোড়ের। শুক্রবারও পাখিদের মৃতদেহ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল।
তার উপর দিয়েই চলে যাচ্ছে যানবাহন। রাস্তায় যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাখির দেহ। স্থানীয় দোকানদারদের চোখের সামনে নিত্যদিন এমন ঘটনা ঘটায় তাঁদের মধ্যেও নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
ঠিক কী কারণে এই ঘটনা? স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনুমান, ওই লোহার বিদ্যুতের খুঁটিতে অনেক তারের জট রয়েছে। তা ছাড়া সার্ভিস লাইনের বক্সের ভিতরে বাসা বানাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে পাখির দল। ছোট ছোট পাখিরা হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের সংস্পর্শে এলে শরীর প্রভাবিত হচ্ছে। ছোট পটকা ফাটলে যেমন আওয়াজ হয়, তেমন আওয়াজও পাচ্ছেন অনেকে।
রাস্তায় বেরিয়ে এলেই পাখিদের মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এর আগে একাধিকবার বিদ্যুৎ দফতরকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ। এদিকে শুক্রবার পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পাখিদের মৃতদেহ তুলে নিয়ে যান। যদিও এমন বহু পাখির দেহ রয়েছে, যা গাড়ির চাকায় একেবারে রাস্তার সঙ্গে পিষে গিয়েছে। সেগুলি আর তুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
পাখিদের দেহগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দিয়ে ময়না তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা। এমন ঘটনা ঘটনায় পশুপ্রেমী সংগঠন সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছেও উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।