বিহারের সমস্তিপুর থেকে একটি কথিত ভৌতিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। পুরো ঘটনাই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। আসলে, সাদা শাড়ি পরা এক মহিলাকে গভীর রাতে যেতে দেখা যায়। মানুষ তাকে কোনো অশরীরী বা ভূত বলে দাবি করছে।
সেই সঙ্গে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও দেখে মানুষ নানা কথা বলছেন। সাদা শাড়িতে দেখা ওই অবয়বকে কিছু মানুষ বলছে অপরাধী।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ওয়ারিশনগর এলাকার মনিয়ারপুর কালী মন্দিরের পিছনের বলে বলা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে এই সিসিটিভি ফুটেজটি ১২ অগাস্ট রাত ১টার দিকের। যেখানে সাদা শাড়ি পরা এক মহিলাকে (কথিত ভূত) যেতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কেউ একে এক মানবী নারী বলে বলছেন, আবার কেউ বলছেন কোনো অপরাধীর ছদ্মবেশে পাড়ি দেওয়ার কথা। কেউ কেউ এমনও বলছেন, রাতের আঁধারে প্রেমিক ছদ্মবেশে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। এই মুহূর্তে প্রশ্ন উঠছে সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবিটি আসলেই ভূতের নাকি অন্য কারও?
বিশেষজ্ঞরা কি বলেন?
এ বিষয়ে বিআরবি কলেজের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডঃ সুনীল কুমার মিশ্র বলেন, “মনোবিজ্ঞানে ভূতের ধারণা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার। ভূত একটি মায়া মাত্র। এটা আমাদের কল্পনা, অনুভূতি এবং ইচ্ছা অনুযায়ী উৎপন্ন হয়। আমরা সারাদিন যে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি সেগুলো কখনো কখনো ভূতের আকারে দেখা যায় বা প্রতিফলিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধকারে, আমরা কখনও কখনও যে বস্তুকে সাপ ভেবেনি পরে দেখি একটি দড়ি ছিল।
ভূতের মতো কিছু নয়: অধ্যাপক মিশ্র
মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক মিশ্র আরও বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওটি তদন্তের বিষয়। মনে হচ্ছে ছদ্মবেশে কেউ দৌড়াচ্ছে। তদন্তের পরই প্রকৃত বিষয় জানা যাবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। ভূত বলে কিছু নেই। হ্যাঁ, কিন্তু আমরা যখন ভূতের মতো কিছু নিয়ে বেশি ভাবতে থাকি তখন ভূত দেখা দিতেই পারে। কারণ মস্তিষ্কের রসায়ন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পরোক্ষভাবে দৃশ্যমান চিত্রটি ভূতের মতো দেখা দেয়। আমাদের সমাজে ছোটবেলা থেকেই ভূতের ধারণাকে গল্প আকারে তুলে ধরার প্রচলন রয়েছে। তাই মানুষের ভূতে বিশ্বাস। ভূত বলে আসলে কিছু হয় না।
সূত্র: AajTak
পুনশ্চ: এত দ্বারা পাঠকদের জানিয়ে রাখা হচ্ছে যে দৈনিক সংবাদ কোন ধরনের কুসংস্কারকে বিশ্বাস করে না বা প্রচার করে না। প্রতিবেদনটি সূত্র থেকে পাওয়া একটি ঘটনার কথা বলছে।