নিজের বয়ান লিখে রেখে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক নারী সাংবাদিক। সাংবাদিকের নাম শ্রুতি নারায়ণ। নিহতের স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার মহিলা সাংবাদিকের ভাই নিশান্ত নারায়ণ হোয়াইটফিল্ড অ্যাপার্টমেন্টে তার দিদিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ৩৭ বছর বয়সী শ্রুতি নারায়ণ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক ছিলেন।
শ্রুতি একটি সুইসাইড নোটও রেখে গেছেন যাতে তিনি লিখেছেন যে, “আমি আমার জীবন শেষ করতে যাচ্ছি। আমার এই পদক্ষেপে দুজন মানুষ সবচেয়ে বেশি খুশি হবে। তুমি আর আমি”। সুইসাইড নোটে শ্রুতি লিখেছেন, “আমি খুশি কারণ আমি এই যন্ত্রণাদায়ক জীবন থেকে মুক্তি পাচ্ছি এবং তুমি খুশি হবে কারণ তোমাকে আর আমাকে নিজের জীবনে রাখতে হবে না।
স্বামীর নামে লেখা সুইসাইড নোট লেখা আছে…
স্বামীর নামে লেখা সুইসাইড নোটে শ্রুতি তার স্বামীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, তিনি যদি আবার বিয়ে করতে চান, তাহলে তিনি যেন একজন অন্ধ ও বধির নারীকে বিয়ে করেন। কেননা ২০ মিনিটের বেশি তার অত্যাচার কেউ সহ্য করতে পারবে না বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী সাংবাদিক।
শ্রুতির স্বামী অনীশ করোথ ১৯ শে মার্চ কান্নুরে তার পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন, তবে বর্তমানে তার অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। শ্রুতি ২০শে মার্চ আত্মহত্যা করেছিলেন, তার স্বামী কান্নুরে চলে যাওয়ার একদিন পর। অন্যদিকে, ২০শে মার্চ শ্রুতির ভাই নিশান্ত যখন ফ্ল্যাটে পৌঁছান, তিনি তার দিদিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। নিশান্তও তার স্ত্রীর সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে থাকেন।
বাড়ি থেকে তিনটি আলাদা আলাদা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে
বাড়ি থেকে তিনটি আলাদা আলাদা সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। একটি পুলিশের জন্য, একটি তার স্বামী অনীশ করোথের জন্য এবং আর একটি সুইসাইড নোট শ্রুতি রেখে গেছেন তার বাবা-মা নারায়ণন পেরিয়া এবং সত্যভামার জন্য যারা কাসারগোদ শহরে বসবাস করেন। তার বাবা-মায়ের নামে লিখে যাওয়া একটি সুইসাইড নোটে শ্রুতি বলেছেন যে তিনি বেঁচে থাকলে বহু বছর ধরে তাদের দুঃখের কারণ হবেন।
বলা হচ্ছে যে ফেব্রুয়ারিতে কাসারগোডে শ্রুতি এবং তার স্বামীর মধ্যে কিছু বিষয়ে একটি একটা সমঝোতা হয়েছিল, কিন্তু তার পরেও সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছিল না। বলা হচ্ছে, ডেপুটি প্রোডাকশন এডিটর হিসেবে ইউনাইটেড কিংডম ও আয়ারল্যান্ডের সংবাদ সংস্থায় কাজ করেছেন শ্রুতি। ২০১৩ সালে তিনি রয়টার্সে যোগ দেন যেখানে তিনি নয় বছর কাজ করেছিলেন।