গুজরাটের বাসিন্দা দিনেশ প্যাটেল কীভাবে ইউপির ইটাতে পৌঁছেছিলেন তা কেউ জানেন না, তবে কয়েক মাস ধরে ভিক্ষুক হয়ে সারা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এবং ভিক্ষা করছিলেন। দীনেশ সারাদিন ইটাতে ভিক্ষা করতেন, তারপর রাতে বাসস্ট্যান্ডে ঘুমাতেন। কেউ তার সাথে কথা বললে সে তার সাথে সাবলীল ইংরেজিতে কথা বলতে থাকে। তার এই বিষয়টি লোকজনকে অবাক করে? কে ইনি? জানতে আগ্রহী হয় সকলে।
তার কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মীরা মানসিকভাবে অসুস্থ দীনেশ প্যাটেলের কাছে তার পরিবারের তথ্য জানতে চাইলে দীনেশ নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু জানাতে পারেননি।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীনেশকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ দীনেশের সঙ্গে কথা বলে ইন্টারনেটে তথ্য অনুসন্ধান করার পর গুজরাটের নভসারি জেলার চিখালি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এতে জানা যায় যে ২রা এপ্রিল দীনেশ প্যাটেল নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানা থেকেই দীনেশের পরিবারের ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর জানা গিয়েছিল। বর্তমানে ইটা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুজরাট থেকে রওনা দিয়েছেন।
মানসিকভাবে অসুস্থ দীনেশ ভাই প্যাটেল গুজরাটের নভসারি জেলা ও থানা চিখালির রণভেরি গ্রামের বাসিন্দা। ২রা এপ্রিল নিখোঁজ হন দীনেশ। দীনেশের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। দীনেশের পরিবার ফোনে জানায়, দীনেশ প্যাটেল ব্যাঙ্কে ম্যানেজার ও জেনারেল ম্যানেজার হয়ে ২০০৯ সালে অবসর নিয়েছিলেন।
দীনেশ প্যাটেল কীভাবে গুজরাট থেকে উত্তর প্রদেশের ইটাতে পৌঁছলেন, দীনেশ বা তাঁর পরিবারের কারও কাছেই সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধনঞ্জয় কুশওয়াহা জানান, ২ জুলাই পুলিশ খবর পায় যে বাসস্ট্যান্ডে এক অপরিচিত ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছে। এ বিষয়ে পুলিশ এসে কথা বলে অনেক চেষ্টার পর তার সম্পর্কে জানতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তারা আসছে দীনেশ প্যাটেলকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।