বাঁকুড়ার রাইপুর থানার মটগোদা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ওই আত্মঘাতী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর এক জায়গা থেকে। অবশ্য আত্মঘাতী ওই মেয়েটির পরিবার অন্য কথা বলছে, তাদের দাবী যে মেয়েকে অত্যাচার করে খুন করে দেওয়া হয়েছে। যদিও মৃত দেহর প্রাথমিক ময়নাতদন্তে কোনও ক্ষত চিন্হ পাওয়া যায়নি, রাইপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
সূত্রের খবর, মটগোদা হাইস্কুল থেকে ওই নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিয়েছিল এ বছর। প্রতিবেশী এক মাসির বাড়িতে শনিবার রাতের খাওয়া সেরে ঘুমোতে যায়। তবে রাত বাড়লেও নাবালিকা বাড়িতে না পৌঁছনয় ওই মাসি তাদের বাড়িতে খুঁজতে যায়। খুঁজতে শুরু করে মেয়েটিকে। অনেকের কাছে যোগাযোগ করা হয়, আত্মীয় থেকে বন্ধুবান্ধব, কিন্তু অবাক করেই এক অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে মেয়েটি জানায় যে সে তার প্রেমিক কে বিয়ে করেছে, আর এখন মামাবাড়ির দিকে যাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষন পর মেয়েটি আবারও ফোন করে জানায় যে সে এখন এক অচেনা জায়গায় চলে এসেছে। তাকে উদ্ধারের আর্জি জানায় সে বাড়ির সদস্যদের কাছে। কিন্তু তারপর থেকেই ওই অচেনা নম্বরটি সুইচড অফ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার সকালে রাইপুর থানার পুলিস মটগোদা গ্রাম থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে যাদবনগর গ্রামের যায়। সেখানে নাবালিকার দেহ একটা গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়উদ্ধার করে। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় মেয়েটির বাবার উপস্থিতিতে। রবিবার সন্ধ্যায় দেহটির সৎকার করা হয় ময়নাতদন্তের পর। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, শারীরিক ভাবে অত্যাচার করে খুন করেছে তাঁদের মেয়েকে ওই ‘প্রেমিক’। পুলিস স্বতঃপ্রনোদিত ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়েছে।