এখনও দাপট রেখে বজায় রয়েছে করোনা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার বার সতর্ক করছেন আসন্ন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। তাই রাস্তা ঘাটে মাস্ক ছাড়া বেরোনো একেবারেই উচিৎ নয়। এমনকি টিকা নেওয়া হয়ে গেলেও দরকার মাস্ক ব্যাবহার করা। কিন্তু এই রাজ্যে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা শুধুমাত্র টাকার অভাবেই মাস্ক কিনতে পারছেন না। ফলে এই করোনা অতিমারি চলাকালীন তাদের স্বাস্থ্য সংশয় হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করলেন বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের বাসিন্দা এক ছাত্রী। রাজ্য সরকারের প্রদেয় কন্যাশ্রীর (Kanyashree) টাকা জমিয়ে সেই টাকায় বিতরণ করলেন মাস্ক। এর সাথে সাথেই করলেন করোনা ভাইরাসে সংক্রমন ঘিরে সচেতনতার প্রচার।
করোনাকালে মাস্ক ছাড়াই রাস্তাঘাটে বের হয়ে পড়ছেন বহু মানুষ। এই কারণে যে শুধু তাঁদের প্রাণের ঝুঁকিই বাড়ছে তাই নয় পাশাপাশি বাড়ছে সংক্রমন ছড়ানোর আশঙ্কা। সাথে সাথে বিপদ বাড়ছে অন্যান্য সহ নাগরিকদের। এমন
পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ছোট গোবিন্দপুর এস এন পাঁজা হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী পায়েল নন্দী (Payel Nandi)।
পায়েল বাঁকুড়া জেলার দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বাঁকুড়ার গোবিন্দপুরের নন্দীপাড়ার মা, বাবা, ভাইয়ের সঙ্গেই বাস করে পায়েল। পায়েলের বাবা পেশায় মৎসজীবী, মা গৃহবধূ। ছোটো থেকেই যথেষ্ট মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত পায়েল পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্মেও যথেষ্ট সচেতন। বরাবরই পায়েল চেষ্টা করে সমাজে সকলের পাশে দাড়াতে। করোনার আবহে এই ভাবে চারদিকে মাস্ক ছাড়া মানুষ কে বেরোতে দেখে সে বোঝে অবস্থার গুরুত্ব। এবং তখনই সিদ্ধান্ত নেয় কিছু করার।
আর তার এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে রাজ্য আগামী ১৪ অগাস্ট কন্যাশ্রী দিবসে তাকে পুরস্কৃত করবে। তাকে কন্যাশ্রী সন্মানে ভূষিত করার খবর শুনে পায়েলের স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, পায়েলের এই কাজ নিঃসন্দেহে সমাজে দৃষ্টান্তমূলক।দশম শ্রেণীর এই ছাত্রীর এই প্রশংসা করেছেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত মহাশয়ও। তিনি বলেন, “পায়েল যেভাবে এই মাস্ক বিতরণের কাজ পদক্ষেপ নিয়ে করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং সকলের কাছে এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক কাজ।”