Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ট্রেনের মধ্যেই হঠাৎ প্রসব বেদনা! রেলের তৎপরতায় কামরাতেই ভূমিষ্ঠ শিশু

কখনও ভেবে দেখেছেন কোনও যাত্রী যদি ট্রেনের মধ্যেই অসুস্থ হন তাহলে টার চিকিৎসা কিভাবে হবে? আবার যদি সেই যাত্রী গর্ভবতী হন এবং সন্তান প্রসবের অবস্থা হয় তখন? হ্যাঁ এমনই এক ঘটনা ঘটেছে আর সেক্ষেত্রে রেলের ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে এক মহিলা সন্তান প্রসব করলেন ট্রেনেই। অবধ- অসম এক্সপ্রেস এ মধ্যরাতে তাদের সহায়তায় রিনা কুমারী নামক এক যাত্রী সন্তান প্রসব করেন। তিনসুকিয়া থেকে মুজফ্‌ফরপুরে রিনা এক আত্মীয় এর সাথে যাচ্ছিলেন। এই যাত্রার মাঝ পথেই প্রচন্ড প্রসব যন্ত্রনা শুরু হয় রিনার। ট্রেনে উপস্থিত টিটিই নিজেই খবর দেন নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে। রেলের থেকেই এরপর পৌঁছয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল ওই ট্রেনে। রিনা সম্পূর্ণ অস্ত্রপ্রচারহীন সন্তান প্রসব করেন তাদের সাহায্যে। ট্রেনটি নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে বেশ ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়েও ছিল রিনার প্রসবের জন্য। রিনা এবং তাঁর সন্তান দুজনেই শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন তাই তারা মুজফরপুরের দিনে রওনা দেন।

নীলাঞ্জন দেব উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ফোন করে খবর দেন অবধ-অসম এক্সপ্রেসে বুধবার রাত ১২টা ১০ নাগাদ থাকা এক টিটিই, যে এক মহিলা যাত্রীর প্রসব বেদনা উঠেছে ওই ট্রেনে। তাঁর পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, ওই মহিলার সন্তান প্রসব করানো প্রয়োজন কিছু ক্ষণের মধ্যেই। তখনও ট্রেনটির নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে ঢুকতে ঘণ্টাখানেক লাগার কথা। সঙ্গে সঙ্গে নিউ বঙ্গাইগাঁও ডিভিশনাল রেল হাসপাতালে খবর দেন স্টেশন মাস্টার। তড়িঘড়ি কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী সহ কর্তব্যরত চিকিৎসক , প্রয়োজনীয় সমস্ত ওষুধপত্র থেকে শুরু করে গরম জল নিয়ে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছন।

নিউ বঙ্গাইগাঁও স্টেশনে রাত ১টা ১০ নাগাদ ট্রেন ঢোকার পর এস-২ কামরার ৭৯ নম্বর আসনে প্রসূতি রিনার কাছে যান স্বাস্থ্যকর্মীরা। তার পরেই সন্তান প্রসবের তোড়জোড় শুরু হয়। নাড়ি কাটার ক্ষতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেন চিকিৎসক সন্তান প্রসবের পর। বৃহস্পতিবার নীলাঞ্জন আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ সদ্যোজাত কাঁদছিল না জন্মের পর। তাতে চিকিৎসক একটু চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের তৎপরতায় কিছু ক্ষণ পর সকলকে আস্বস্ত করে সে কেঁদে ওঠে। মা ও সন্তানের শ্রুশ্রূষার জন্য রেলের তরফে রিনাদেবীকে পরামর্শ দেওয়া হয় নিউ বঙ্গাইগাঁওতে থেকে যাওয়ার। কিন্তু থাকতে চাননি উনি। রওনা দেন ওই ট্রেনেই। আমরা গর্বিত এমন পরিষেবা দিতে পেরে। মা ও সন্তান ভালই ছিলেন এখান থেকে রওনা হওয়ার সময়।’’

Related posts

বদলা নিচ্ছে বাঁদর! মহারাষ্ট্রে এক মাসে মেরে ফেলল প্রায় ২৫০ কুকুর! কারণ জানলে অবাক হবেন

News Desk

হাতের লেখা না ছাপা হরফ! পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী এই মেয়েটি

News Desk

পালিয়ে বিয়ে করে কোনো সমস্যায় পড়েছেন? এই মন্দিরে আশ্রয় দেয় স্বয়ং মহাদেব

News Desk