বিয়ে সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আসামের এক মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর তার ভাবী স্বামীকে গ্রেফতার করেছেন। কারণটা বেশ চমকপ্রদ। আসলে অভিযোগ যে পুলিশ অফিসার ওই মহিলাকে ভুয়ো পরিচয়ের আড়ালে বিয়ে করতে চেয়েছিল ওই যুবক। শুধু তাই নয় এভাবে তিনি আরও অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মহিলা উপ-পরিদর্শক তাকে আটক করেন। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আসামের নগাঁও জেলার। এখানকার নগাঁও থানায়, মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর জোনমনি রাভা তার বাগদত্তা রানা পাগকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয় দেখিয়ে বিয়ে, লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
নিজেকে অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়:
জনমনি রাভা জানিয়েছেন যে তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যখন মাজুলিতে পোস্টেড ছিলেন সেই সময় তার রানা প্যাগের সাথে দেখা হয়। দুজনে বন্ধুত্ব হয় এবং তারা একে অপরের কাছাকাছি আসেন। তখন তিনি (রানা প্যাগ) নিজেকে ওএনজিসি-তে জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। এই সময়ে তিনি মহিলা পুলিশ অফিসারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরপরে তাদের পরিবার দেখা করে এবং ২৯২১ সালের অক্টোবরে বাগদান সম্পূর্ন হয়। ২০২২ সালের নভেম্বরে দুজনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল।
জনমনি বলেছিলেন যে ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে প্যাগ এর কাজকর্ম দেখে সে তার উপর সন্দেহ করতে শুরু করেন। এরপর তিনি তদন্ত শুরু করলে প্রকাশ্যে আসে প্যাগ অনেককে প্রতারিত করেছে। সেই সঙ্গে জানা যায় তিনি কোনো ওএনজিসিতেও কাজ করছেন না। তিনি একটি এসইউভি চালাতেন এবং তার সাথে একজন চালক এবং নিরাপত্তা কর্মীও থাকতো, যাতে তাঁকে একজন অফিসারের মতো দেখায়। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ যে তিনজন সাক্ষী আমার কাছে এসে রানা পাগের বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এই ঘটনা আমার চোখ খুলে দিল।” তিনি বলেন, এ ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।