আবারও মেয়াদ বাড়ল লকডাউনের দিল্লিতে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, লকডাউন থাকবে আগামী ১৭ মে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত । দিল্লী মেট্রোও সেই সময় চলবে না।
দিল্লিতে সংক্রমণের হার (পজেটিভ রেট) ক্রমশ বাড়তে থাকায় , দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দিল্লিতে লকডাউনের ঘোষণা করেন । তারপর থেকে লকডাউনের মেয়াদ চার দফায় বাড়ানো হয়েছে। তাতে যে বেশ কিছুটা লাভ হয়েছে, তা সংক্রমণের হারেই স্পষ্ট। কিছুটা রাশ টানা গেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কেজরিওয়াল বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল সংক্রমণের হার ছিল ৩৫ শতাংশ দিল্লিতে । যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশ গত কয়েকদিনে। করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কমছে।’ দিল্লী জুড়ে করোনা সংক্রমনে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের হাহাকার। মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। সেই ক্ষেত্রে লকডাউন ছাড়া উপায় নেই মানছেন অনেকেই।
সেইসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে লকডাউনের সময়। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময়কে ব্যবহার করেছি , আমাদের চিকিৎসা পরিকাঠামোকে উন্নত করতে । অক্সিজেন বেডের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় । অক্সিজেনের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দিল্লিতে । আমরা এখন জরুরি বার্তা বা আতঙ্কিত হয়ে ফোন পাচ্ছি না হাসপাতাল থেকে ।’
উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লিতে নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে ১৭,৩৬৪ জন । তার ফলে গত ছ’দিনের মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০০০-এর নীচে থেকেছে পাঁচবার । গত শনিবার মৃত্যু হয়েছে ৩৩২ জনের। তবে দিল্লি স্বাস্থ্য দফতরের জানানো হয়েছে, সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের নীচে থেকেছে টানা তিনদিন । যা প্রায় ৪০ শতাংশের মতো ছিল একটা সময়। সার্বিকভাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দিল্লিতে ১,৩১০,২৩১। তার মধ্যে সেরে উঠেছেন ১২.০৩ লাখ আক্রান্ত । আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯,২০১। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭,৯০৭।