পশ্চিম বঙ্গ শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অর্পিতা মুখার্জি দাবি করেছেন যে তৃণমূলের মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি তার বাড়িতে অর্থ জমা করতেন এবং সেটিকে একটি “মিনি-ব্যাঙ্ক” হিসাবে ব্যবহার করতেন। এনডিটিভির দ্বারা করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে অর্পিতা মুখার্জি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকদের জেরার মুখে বলেছেন, “সমস্ত টাকা একটি ঘরে রাখা হয়েছিল যেখানে শুধুমাত্র পার্থ চ্যাটার্জি এবং তার লোকেরাই প্রবেশ করতে পারতো।”
সূত্র আরও জানিয়েছে যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে মন্ত্রী প্রতি সপ্তাহে বা প্রতি ১০ দিনে অন্তত একবার তাঁর বাড়িতে যেতেন। তিনি বলেন “পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার বাড়ি এবং অন্য আরেক মহিলার বাড়িকেও মিনি-ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছিল। আরেক নারীও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট রাজ্য সরকারের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার কলকাতার একটি আদালত তাদের দুজনকে ১০ দিনের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতে পাঠিয়েছে। পার্থ চ্যাটার্জির ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল ইডি।
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে কেউ যদি অন্যায়ের জন্য দোষী প্রমাণিত হয় তবে তার শাস্তি হওয়া উচিত। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। একটি সময়সীমা থাকা উচিত যার মধ্যে সত্য এবং আদালতের সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসতে হবে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত। দলও ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু, আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণার সমালোচনা করছি।
আসলে, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের পরে, রাজ্য এবং কেন্দ্র বিজেপি উভয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল টিএমসির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিজেপি নেতারা বলেন, রাজ্যে সরকারি অর্থ লুটপাট চলছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করার দাবিও করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।