হাপুস নয়নে সর্বসমক্ষে কাঁদতে শুরু করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার দিন আদালতের নির্দেশ মত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার তাঁকে নিয়ে আসা হয় জোকা ইএসএআই হাসপাতালে। হাসপাতালের কাছে পৌঁছনো মাত্রই গাড়িতে বসেই কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। আর গাড়ি থেকে নামা মাত্রই একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসা মাত্রই এই দৃশ্যে হকচকিয়ে যায় সকলে। গাড়ি থেকে নামার আগেই হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত সন্দেহে এবং তার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকা উদ্ধার হওয়ার পর তাকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। হেফাজতে থাকাকালীন প্রতি ৪৮ ঘণ্টা শারীরিক পরীক্ষা করানোর নির্দেশ রয়েছে। সেই মতোই তাকে নিয়ে আসা হয় জোকার ইএসআই হসপিটালে। কিন্তু সেখানে পৌঁছে কিছুতেই গাড়ি থেকে নামতে চাইছিলেন না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। গাড়ির পিছনের সিটে বসে হাউ হাউ করে কাঁদতে দেখা যায় তাকে। শেষ অবধি তাকে জোরপূর্বক নামানো হলে তিনি প্রায় রাস্তায় বসে পড়েন। রাস্তা থেকে তাকে একপ্রকার জোর করে তুলে কোনক্রমে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু প্রায় হুলুস্থূলু অবস্থার সৃষ্টি হয়। হুইল চেয়ারে বসে রীতিমতো হাত পা ছুড়তে দেখা যায় তাকে। বোঝাই যাচ্ছে চাপের মুখে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। যখন তাকে অ্যারেস্ট করা হয় তিনি বিরোধীদের চক্রান্ত বলে জোর আওয়াজ তুলেছিলেন। কিন্তু যতই সময় যাচ্ছে নমনীয় হতেই দেখা যাচ্ছে তাকে। ইডির আধিকারিক সূত্রের খবর অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নাকি যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন তদন্তে।
অপরদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসে বললেন যারা ষড়যন্ত্র করছেন সময় হলেই জানতে পারবেন। দল তাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক? জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন দলের সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা সেটা সময় বলবে। যাওয়ার আগে তিনি বলে যান মমতা ব্যানার্জির সিদ্ধান্তই ঠিক।