উদ্ধার হওয়া টাকা নাকি তাঁর নয়। মঙ্গলবার ইএসআই হসপিটাল এ ঢোকার মুখে এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালে ঢোকার সময় অর্পিতা জানান, যে এই টাকা তার নয়। যখন সে উপস্থিত ছিল না এবং তার অজ্ঞাতসারেই এই টাকা তার ফ্ল্যাটে রাখা হয়। এরপর অর্পিতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এই টাকা যেত কোথায়? সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য নীরবতা রেখেছেন অর্পিতা।
এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হসপিটালে আসার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন এ টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়। এদিন অর্পিতার গলাতেও একই সুর। দুজনেই যদি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে টাকা তাদের নয় তাহলে এই টাকা কার উঠছে প্রশ্ন!
ইডি হেফাজতে নেওয়া কালীন আদালত নির্দেশ দিয়েছিল প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। সেই মতোই রবিবারের পর আবারও মঙ্গলবার দুজনকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়। আজ মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে প্রশ্ন করা হলেও তিনি নীরবতা রেখেছিলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই গাড়ি ঢোকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কে নিয়ে। সেখানে অর্পিতা কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সেই টাকা তার নয়, তার অনুপস্থিতিতে তার ফ্ল্যাটে ঢোকানো হয়েছে এই টাকা।
প্রসঙ্গত পার্থ চ্যাটার্জি শুক্রবার বলেছিলেন যে তিনি একটি ষড়যন্ত্রের শিকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন “এই সিদ্ধান্ত (আমাকে বরখাস্ত করার) একটি নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে,”। এরপরে অবশ্য একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এবং রীতিমত তৃণমূলে সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে বিবেচিত পার্থ চ্যাটার্জি তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বলেছিলেন, “তাঁর (মমতা ব্যানার্জীর) সিদ্ধান্ত সঠিক।
যদিও তৃণমূল দল পার্থ চ্যাটার্জিকে একরকম দূরে সরিয়ে দিয়েছে তাও বিরোধীদের প্রশ্ন মন্ত্রিসভার এত বড় কেলেঙ্কারি মূখ্যমন্ত্রী জানতেন না এও কি সম্ভব?