অনেক কম বয়স থেকেই মডেলিং করতেন। সাথে ছিল অভিনয় করার ইচ্ছা। বাংলা সিনেমা জগতে কিছু পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার পর অবশেষে নায়িকা হিসেবেও কাজ করার এবং আত্মপ্রকাশের সুযোগ পান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু যে প্রযোজক তাকে টলিউডের নায়িকা হবার সুযোগ করে দেন তার সাথে পরে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগ আছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এমনকি দুর্ব্যবহারের পর তার সাথে আর কখনো যোগাযোগ করেনি অর্পিতা। গুঞ্জন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা হবার পরেই নাকি আসে তার আচরণে পরিবর্তন।
কে সেই টলিউড প্রযোজক? টিভি ৯ বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা গেছে তাঁর নাম গৌতম সাহা। যাঁর হাত ধরেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় টলিউডে মূল চরিত্রে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসেবে নাম উঠে এসেছে অর্পিতা মুখার্জির। তার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেছে নগদ ৫০ কোটি টাকা এবং কেজি কেজি সোনা ও আরো ফ্ল্যাটের দলিল। এই বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে যার ফ্ল্যাট থেকে তার শুরুর দিনগুলো ছিল পুরো অন্যরকম। স্টুডিও পাড়ায় কাজ করার আগ্রহ ছিল চরমে। আজ তাকে যখন ইডি হেফাজতে নিয়েছে তখন তার এমন পরিণতিতে কিছুটা স্তম্ভিত সেই টলিউড প্রযোজক।
জিৎ-স্বস্তিকা অভিনীত ‘পার্টনার’, প্রসেনজিৎ-এর ‘মামা ভাগ্নে’র মতো বেশ কচি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল তাকে। সেই সময় তার পরিচয় গৌতম সাহার সাথে।
২০১২ সালে ‘হৃদয়ে লেখ নাম’ সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেই বেছে নেন গৌতমবাবু। কিন্তু ওই সিনেমার পর আস্তে আস্তে ইন্ডাস্ট্রির সাথে দূরত্ব তৈরি হয় তার। দেখতে সুন্দর, নায়িকাসুলভ ভঙ্গিমা থাকার পরও সেইভাবে কাজ করলেন না আর। এমনকি প্রযোজকের দাবি যে খুব বেশি চাহিদাও ছিল না তার। অথচ বিপুল টাকা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আজ সেই নায়িকাই জেলে।
কেন প্রযোজক গৌতম সাহার সঙ্গে সমস্যা তৈরি করলেন অর্পিতা? প্রযোজকের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘হৃদয়ে লেখ নাম’ সিনেমা রিলিজ করার পর থেকেই পরিচিতি বাড়তে থাকে তার। এরপরই তার আচরণে বদল আসে। এমনকি একদিন প্রযোজক কে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্পিতা যে সিনেমায় তার চেয়ে বেশি মণিকা বেদির ওপর বেশি ফোকাস করা হয়েছিল। এখন ইডি সূত্রে যা জানা যাচ্ছে ঠিক সেই সময় থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে তার আলাপ। কি মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতাই উদ্ধত করে তুলেছিল অর্পিতাকে।
তথ্য সূত্র: টিভি ৯ বাংলা