কোনও ধর্ম স্থানে বেড়াতে গিয়ে আমরা মাঝেমধ্যেই সেই স্থানের মাহাত্ম্য বিজড়িত দেবদেবীর ছবি কিনি। অনেক সময় এমন উপহার পাওয়া যায় অনেকের থেকে। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই সমস্ত দেবদেবীর ছবি অথবা মূর্তি স্থান পায় ঠাকুর ঘরে। কিন্তু এমনটা কি আদৌ করা উচিত?
বাস্তুমতে দেবদেবীকে কিভাবে ঠাকুর ঘরে প্রতিষ্ঠা করতে হয় তার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। অথচ বেশীরভাগ বাড়িতেই এমন বিষয়গুলো খেয়াল না রেখেই ঠাকুরঘরে দেবদেবীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলা হয়। কিন্তু হিন্দু ধর্মের নানা শাস্ত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রেখে ঠাকুরঘরে দেবদেবীর প্রতিষ্ঠা করতে নির্দেশ দেওয়া আছে। সেগুলি না মানলে পড়তে পারে অশুভ প্রভাব। তাই ঠাকুরঘরে বহুসংখ্যক দেবদেবীর ছবি বা মূর্তি রাখার আগে জেনে নিন কি করা উচিত আর কি করা অনুচিত। এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে নিন…
দেবদেবীর মধ্যে সিদ্ধিদাতা গণেশ বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই একাধিক গণেশ মূর্তি (Ganesh Idols) থাকে। গণেশ মূর্তি উপহার হিসাবেও দেওয়া হয়। অনেকেই সবকটি গণেশ মূর্তি ঠাকুর ঘরে রেখে দেন। এমনটা কিন্তু করবেন না। জ্যোতিষ মতে, একই স্থানে দুটি গণেশ মূর্তি রাখা ঠিক নয়। একাধিক গণেশ মূর্তি থাকলে তা আলাদা আলাদা ঘরে রাখুন। তা না হলে সংসারে খারাপ প্রভাব পড়বে।
এছাড়া, কখনও ঠাকুর ঘরে পরপর অর্থাৎ একটি ঠাকুরের সামনে অন্য ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি রাখবেন না। জ্যোতিষ বলে, ঈশ্বররে পিঠের দৃষ্টি অশুভ। তাই ঠাকুর ঘরে যত সংখ্যক ই ভগবানের ছবি বা মূর্তি রাখুন, তা পাশাপাশি সাজিয়ে রাখতে হবে।
ভুলেও বাড়িতে দুটি শিব লিঙ্গ রাখবেন না। কারণ হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এমনটা করলে সুপ্রভাব তো পরেই না বরং খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কাই অধিক। প্রসঙ্গত, হিন্দু শাস্ত্রে গৃহস্ত বাড়িতে শিব লিঙ্গ রাখতে মানা করা হয়। কারণ শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করলে নিয়ম অনুযায়ী তার পুজো করতে হয়। অন্যথায় ভালোর থেকে খারাপ বেশি হয়। আর যদি রাখতেই হয় তাহলে খেয়াল রাখবেন নিয়ম মেনে যেন শিবলিঙ্গের পূজা হয়।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহাদেব, জগতের সবটা জুড়েই এই তিন ভগবান। তারাই সর্বশক্তিমান। তাই আপনার ঠাকুরঘরে এদের মধ্যে কারো ছবি বা মূর্তি থাকলে তার স্থান যেন হয় সকলের উপরে। কেননা হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী স্বর্গের দেবদেবী তার কাছেও এই তিন ভগবানের স্থান সর্বোত্তম। বলাই বাহুল্য এমনটা না করলে সংসারে আসতে পারে নানা সমস্যা।