অলিম্পিক শুরু হতে আর এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। তার আগে ‘অ্যান্টি-সেক্স’ (Anti Sex Bed) বেড বা ‘যৌনতা-রোধী বিছানা’ টোকিও অলিম্পিক ভিলেজে ঝড় তুলেছে। এই অ্যান্টি সেক্স বেড আসলে কী? কর্তৃপক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে একটি বিশেষভাবে তৈরি বিছানা এটি, যা শারীরিরকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে নিরুৎসাহিত করবে ক্রীড়াবিদদের । কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি এই বিছানাগুলি এবং শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ওজন সহ্য করতে পারে, এমনভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। অর্থাৎ সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া যাবে না এই বিছানাগুলিতে । অলিম্পিককে কোভিড-মুক্ত রাখতে অনেক রকম ব্যবস্থা নিয়েছেন আয়োজকরা। কিন্তু, সত্যিই কী এমন ব্যবস্থা নেওয়া হল ক্রীড়াবিদদের শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে ঠেকাতে?
HIV-AIDS-র মতো রোগ প্রতিরোধ করতে একটি প্রথা ,একটা অন্য চিন্তা-ভাবনা নিয়ে অলিম্পিক গেমসে শুরু হয়েছিল। যেখানে অ্যাথলিটদের গেমস ভিলেজে কন্ডোম দেওয়া হতো। প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার তরফে এই জিনিস করা হয়ে। ক্রীড়াবিদদের কন্ডোম দেওয়া হয়। এবারও অলিম্পিক সংস্থা সেখান থেকে ব্রাত্য নয়। এবার কন্ডোম দেওয়া হবে । তবে কেউ যৌন মিলন করতে পারবেন না। এমনটাই শর্ত। আর কারণ এই বিধি নিষেধ এবার HIV বা AIDS নয় করোনার জন্য আনা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের মতো সংক্রমণ গেমস ভিলেজে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনেক বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছে সেই কারণে। একে অপরের সঙ্গে দুরত্ববিধি থেকে শুরু করে সারাক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকতে হবে বলে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এবার অ্যাথলিটরা যৌন মিলন যাতে না করতে পারেন সেই জন্য হাল্কা খাট বানানো হয়েছে। ফলে এবার অলিম্পিক সংস্থা অ্যান্টি সেক্স খাট নিয়ে এল। এই বিষয় নিয়ে আমেরিকার অ্যাথলিট পল কেলিমো টুইট করেছেন।
বাস বা ট্রেনের মতো কোনও গণপরিবহনে যাতায়াত করতে পারবেন না অলিম্পিকের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কোনও ব্যক্তি। তাঁদের কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া গেমস ভিলেজের বাইরে যাওয়ার পাশাপাশি খেলার শেষে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে করমর্দনের বিষয়েও । জাপান সরকারের এক মুখপাত্র এই বিষয় নিয়ে বলেছেন, ‘ সাধারণ মানুষদের ব্যবহার করা জিম, বাজার, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, পানীয়ের জায়গায় যেতে পারবেন না খেলোয়াড় ও প্রতিযোগিতার সঙ্গে জড়িত কেউ। পুরোপুরি যৌনসম্পর্কও নিষিদ্ধ।’