Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ধারে লটারি টিকিট কেটে বাঁধলো ১ কোটি টাকার পুরষ্কার! ভাগ্য বদলে গেল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের

ভাগ্যলক্ষ্মী যে কখন কার উপর কিভাবে সন্তুষ্ট হন বোঝা দায়। হঠাৎ করেই কারো কারো উপর যেন নেমে আসে ধন প্রাপ্তির যোগ। এমনই হল কোচবিহার জেলার দিনহাটার এক যুবকের সাথে। পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক ওই যুবকের আর্থিক অবস্থা নেহাৎই সাধারন। তবে মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য পরীক্ষা করতেন তিনি। এমন ভাবেই একদিন ধারে একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। পরে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা দিয়ে। আর সেই টিকিটেই বদলে গেল তার ভাগ্য। কোটিপতি হলেন এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক। নেপথ্যে রয়েছে সেই ধারে লটারিতে পুরষ্কার যেটা তার কাছে ছিলই না।

সম্প্রতি বাংলা সংবাদপত্র এর পোর্টাল আনন্দবাজার তুলে ধরেছে এই খবরটি। লটারি টিকিট ধারে কেটে কোটিপতি হলেন দিনহাটার সেই সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্স চালক যার নাম রফিকুল হক। পুরো ব্যাপারটা কি? জেনে নিন

দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের গোবড়াছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরানী প্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা হলেন রফিকুল হক। তার ছিল মাঝেমাঝেই লটারি টিকিট কাটার সখ। কোচবিহার দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল কাছের এলাকাতে এক লটারি টিকিট বিক্রেতা যার নাম সুব্রত দেব রায়, তার কাছ থেকে প্রায়ই টিকিট কাটতেন রফিকুল। 

ambulance driver win 1 crore
রফিকুল হক (Source: bengaliabplive.com)

কিন্তু সব সময় সরাসরি টিকিট কাটতেন না। সারাদিনের অ্যাম্বুলেন্স চালানোর ব্যাস্ততার মাঝে কখনও সরাসরি লটারির টিকিট নিয়ে বিনিময়ে টাকা দিয়ে দিতেন আবার কখনও কাজে ব্যাস্ত বাইরে থাকলে মোবাইল এ হোয়াটসঅ্যাপ মারফত টিকিট এর ছবি পাঠিয়ে দিতেন সুব্রত দেব , পরে রফিকুল টাকা মিটিয়ে দিতেন সুব্রত দেব রায়কে। 

কয়েকদিন আগেও ঠিক এমনটাই হয়েছিল, সেদিন বিকেলে রফিকুল হক একটি লটারির টিকিট কাটতে চান। সেই মতো একটি টিকিট এর ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন লটারি টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায়। রফিকুল জানান পড়ে সে টাকা দিয়ে দেবে। আর এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সেই রফিকুলের টিকিটেই ওঠে প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা!

পুরষ্কার ঘোষনা হওয়া মাত্রই লটারি টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায় ফোন করে খবর দেন রফিকুলকে। ১ কোটি টাকা জেতার ঘটনায় সব ফেলে ছুটে আসেন রফিকুল। এর পরেই দিনহাটা থানার পুলিশের কাছে গিয়ে যোগাযোগ করেন রফিকুল ও সুব্রত। 

এই ঘটনায় আপ্লুত রফিকুল। এদিকে লটারি টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায় জানান, “আমি প্রায়শই এই ভাবে ফোনে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে রফিকুলের কাছে লটারি টিকিট বিক্রি করতাম। আজও আমায় রফিকুল ফোন করেছিল, ও তখন আমায় বলল দাদা আমার জন্য একটি লটারি টিকিট রেখে দাও। সেই মতো ওর জন্য নির্ধারিত একটি টিকিট রেখে দিই। এরপর খেলা হলে সেই টিকিট জ্যাকপট পায়। জানা মাত্রই দ্রুত রফিকুলকে ফোনে গোটা বিষয়টি জানাই।”

Related posts

জানতেনই না গর্ভবতী! অফিস থেকে ফিরে বাচ্চার জন্ম দিল, পরদিন আবার অফিসে গেল

News Desk

শুধুমাত্র বিবাহিত পুরুষদের সাথেই প্রেম করেন এই মহিলা! কিন্তু কারণ শুনলে অবাক হবেন!

News Desk

ইতিমধ্যেই বিবাহিত! ওদিকে গার্লফ্রেন্ড বিয়ের কথা বললেই দিতেন পিছিয়ে, তারপর…

News Desk