যেভাবে বেশ কিছুদিনের ধরেই কোভিডের গ্রাফ নিম্নমুখী চলছিল, এমনটাই ভেবে নেওয়া হচ্ছিলো যে কোভিড শেষ। কিন্তু হঠাৎ করেই আবারও সেই গ্রাফ উর্দ্ধমুখী, আবারও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সাথে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। আবারও দুশ্চিন্তা ফিরে আসছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে , বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন খুব একটা শুভ নয় দেশের করোনা (Coronavirus)পরিস্থিতি।
কেন্দ্রের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে নতুন করে মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৯৪৯ জন। যা গতকালের তুলনায় খানিকটা কম। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থতার সংখ্যা দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় কম। ৮১০ জন গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, আবারও সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যা ১১ হাজার ছুঁয়েছিল বৃহস্পতিবার , সেটাই শুক্রবার দাঁড়াল প্রায় ১১ হাজার ২০০। চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর এই ঊর্ধ্বমুখী হার। এই মূহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট ৪,২৫,০৭,০৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন । মহামারী ৫,২১,৭৪৩ জনের প্রাণ কেড়েছে।
ফের দেশে আছড়ে পড়তে পারে মাস দুই পর করোনার চতুর্থ ঢেউ। তাই টিকাকরণ জোরকদমে চলছে আগে থেকেই। বয়স্কদের বুস্টার ডোজ ও ছোটদের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি প্রিকশন ডোজ ১৮ ঊর্ধ্বদের জন্যও শুরু হয়েছে। তবে বাজার থেকে কিনে তবেই নিতে হবে এই ডোজ।
এদিকে, পজিটিভিটি রেট রাজধানী দিল্লি (Delhi) ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (NCR) বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। স্কুলগুলি প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পরে খুলেছে। কিন্তু পড়ুয়ারা এর মধ্যেই আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। এই অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হোম সেন্টার বাদ দিয়ে অন্য স্কুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই বোর্ড।