বিয়ের সাত দিন যেতে না যেতেই প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন নববিবাহিত নারী। একটি সিসিটিভি ফুটেজে নববধূকে তার বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে বাজারের মাঝখানে দৌড়াতে দেখা গেছে। অভিযোগ আনা হয়েছে যে মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে করতে চাইলেও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে অন্যত্র বিয়ে করতে বাধ্য করে। তারপরই ঘটে এই ঘটনা!
বিহারের মুঙ্গের থেকে এই অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের মাত্র সাতদিন পর এক নববিবাহিত নারী তার প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়ে যান। আশ্চর্যের বিষয়, স্বামীর সামনেই ঘটেছে এই গোটা ঘটনা। অসহায় স্বামীও তাদের ধাওয়া করার চেষ্টা করলেও ততক্ষণে দুজনই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে বর্তমানে এ মামলার তদন্তে নিয়োজিত পুলিশ নববধূ ও তার প্রেমিকাকে আটক করেছে।
পুরো বিষয়টি কোতয়ালী থানা এলাকার। এখানকার পোদ্দার কলোনীর বাসিন্দা নরেন্দ্র কুমার (নাম পরিবর্তিত) গত ১৪ই জুন নয়া রামনগর থানা এলাকার নওগাড়ীর রানীর (নাম পরিবর্তিত) সাথে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর নবদম্পতি চারদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। এরপর ১৮ জুন সে তার বাবার বাড়িতে যায়। ২১শে জুন পুনরায় শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসে এবং তার পরেরদিন অর্থাৎ ২২ তারিখে প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
বাজারে যাওয়ার অজুহাতে পালায়:
নব বিবাহিতা স্ত্রী স্বামীকে বলল, ‘বাজারে চলো, আমাকে চুড়ি আর কিছু জিনিসপত্র কিনতে হবে। স্বামী তাকে বাজারে নিয়ে যায়। যেখানে নববিবাহিত নারী তার স্বামীকে বললেন, ‘তুমি চুড়ি পছন্দ করো।’ স্বামী চুড়ি পছন্দ করতে শুরু করলেই পেছনে অপেক্ষায় থাকা প্রেমিকার হাত ধরে ছুটে পালান নববধূ। স্বামী পিছু করলেও ততক্ষণে গাড়িতে বসে দুজনেই পালিয়ে যায়।
নির্যাতিতা তার মা ও বোনকে নিয়ে কোতয়ালীতে অভিযোগ জানাতে পৌঁছায়। পুলিশকে তিনি বলেন স্ত্রী বিয়ের বেশ কিছু গয়না পড়েছিল পালানোর সময়। এমনকি সাথে কিছু নথিও ছিল।
এ বিষয়ে ছেলেটির মা বলেন, আমাদের একটি মাত্র ছেলে আছে। খুব ধুমধাম করে বিয়ে দিলেও এতবড় ভুল হয়ে গেল। প্রেমিকের সাথেই যদি থাকবে তাহলে কেন আমাদের ছেলেকে বিয়ে করলো। তার পরিবার আমাদের পরিবারকে প্রতারণা করেছে। আমাদের পরিবারকে অপমান করা হচ্ছে।
পুলিশ ওই মহিলা ও তার প্রেমিক কে আটক করলে পাত্রীর প্রেমিক মুনেশ্বর কুমার (নাম পরিবর্তিত) বলেন, আমি পেশায় একজন ড্রাইভার এবং অন্যের গাড়ি চালাই। গত ৬ বছর ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল কিন্তু মেয়েটির পরিবারের লোকজন আমাদের বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। জোর করে তাকে অন্য ছেলে অর্থাৎ নরেন্দ্র কুমারের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু ও কান্নাকাটি করতো। মরে যাওয়ার কথা বলতো। তাই আমি ওকে নিয়ে পালিয়ে যাই।
কোতোয়ালি থানার সভাপতি ডি কে পান্ডে জানান, স্বামীর পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে আজ নববধূ ও তার প্রেমিকাকে তথ্যের ভিত্তিতে নতুন রামনগর থানা পুলিশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্যাপারটা প্রেমের। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। বর্তমানে প্রেমিককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।