ছেলে হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের ধর্ষণ করত এমনই এক তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। বলা হচ্ছে অভিযুক্ত তান্ত্রিক নিজেই পাঁচ মেয়ের বাবা। নিওয়ারি এলাকায় এক মহিলা তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, রোগ নিরাময়ের অজুহাতে তান্ত্রিক তাকে বন্দী বানিয়ে মিরাটে ধর্ষণ করে।
শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করলে তাকে নানা ধরনের নির্যাতনও করা হয়। নির্যাতিতা কোনওমতে তান্ত্রিকের ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে সোজা থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অনেক জায়গায় চিকিৎসা করেও স্বস্তি পাননি। তখন গ্রামের কেউ একজন তাকে বিখ্যাত তান্ত্রিকের কথা বললে সে তার স্বামীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য তার কাছে গেল। তান্ত্রিক বললেন, তার ওপর ভূতের ছায়া আছে। যার চিকিৎসা করতে হবে অনেক দিন। এরপর ওই মহিলা তান্ত্রিকের কাছে যেতে শুরু করেন।
এই সময়, তান্ত্রিক মহিলাকে বলেছিলেন যে ভূত যে কোনও সময় তার খুব ক্ষতি করতে পারে। এর জন্য অনেক তন্ত্রমন্ত্র করতে হবে এবং তাকে ওই তান্ত্রিকের কাছে এখানেই থাকতে হবে। এরপর গত ৯ই সেপ্টেম্বর নির্যাতিতা ওই তান্ত্রিকের কাছে আসে যেখানে সে মন্ত্র পড়ার অজুহাতে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
তান্ত্রিক ওই মহিলাকে ১০ দিন জিম্মি করে ধর্ষণ করে। মহিলাটি এর বিরোধিতা করলে তান্ত্রিক গাফফার তাকে মারধর করত। পুলিশ নির্যাতিতার চিকিৎসা করিয়েছে এবং অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী ও তার পরিবার শোকাহত। পুলিশ তাদের কাউন্সেলিং করছে।