সাতনায় হানিট্র্যাপের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে একজন সুন্দরী মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করে মানুষকে তার জালে ফাঁসিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে সেই ঘটনা ক্যামেরায় বন্দী করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে আবার তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করত। এখন এই ঘটনায় মধু চক্রের ওই মহিলা সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে সাতনা পুলিশ, যারা মহিলার সাথে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করার কাজে সাথে জড়িত ছিল।
এমনই এক চক্রর জারিজুরি ফাঁস করেছে সাতনা পুলিশ। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। শহরের অনেক হাইপ্রোফাইল মানুষ তাদের শিকার হয়েছেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কেউ পুলিশের সাহায্য নেয়নি। কয়েক মাস ধরে এই চক্রটি চলছিল।
প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধু হতো:
আসলে, রজনী প্যাটেল নামে এক মহিলা তার সহকর্মীদের সাথে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন। রজনী সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করত, প্রেমের জালে জড়িয়ে ফেলতো তাদের, বাড়িতে আমন্ত্রণ জানাত এবং শারীরিক সম্পর্কের জন্য উদ্বুদ্ধ করত এবং তার সঙ্গীরা সমস্ত কাজের ভিডিও তৈরি করত এবং তারপরেই শুরু হত ব্ল্যাকমেইলের আসল ব্যবসা।
ব্যবসায়ীর কাছে ২৯ লাখ টাকা দাবি করা হয়:
এমনই কিছু ঘটেছে সাতনার সঞ্জয় জৈন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। ওই মহিলা ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নগদ টাকা না পেয়ে চারটি চেক নেন। তিনি একটি চেক থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকাও পেয়েছিলেন, কিন্তু তার পর বিজনেস অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়ায় তিনটি চেক বাউন্স হয়ে যায়। এমতাবস্থায় অভিযুক্তরা তাদের বাড়িতে গিয়ে ক্রমাগত হুমকি দিত। পুরো পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে গেলে সাহস সঞ্চয় করে ব্যবসায়ী সিটি কোতয়ালীতে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ:
পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং তারপর মহিলা সহ তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে তিনটি চেক, ৬ টি মোবাইল, তিনটি টু হুইলার সহ নগদ ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। একই সময়ে, প্রধান অভিযুক্ত – রজনী প্যাটেল ওরফে রশ্মি, অজয় পাঠক, জগজাহির ওরফে রাঘবেন্দ্র সিং, অনুজ সিং, বিজয় দাহিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে যেখান থেকে সমস্ত অভিযুক্তকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।