মহারাষ্ট্রের পুনের পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় শহরের আকুর্দি এলাকায়, এক যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টায় হামলা এবং বান্ধবীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মন্দির থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় তরুণীর ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
নির্যাতিতার বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। এ ঘটনায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মন্দির থেকে দর্শন করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় এক জায়গায় ভুট্টা কিনতে থামে মেয়েটি। এসময় তিন দুর্বৃত্ত তাকে ধারালো অস্ত্রের উঁচিয়ে হুমকি দেয়। মেয়েটি তার জীবন বাঁচাতে রাস্তায় দৌড়তে শুরু করে।
মেয়েটি দৌড়ে একটি টয়লেটে ঢুকে পড়ে।দুর্বৃত্তরা তার পিছু পিছু গিয়ে সেখানে ঢুকে শ্লীলতাহানি করে। তারা মেয়েটির গায়ে মদ ঢেলে তাকে ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করে। এখানেই থেমে থাকেনি দুর্বৃত্তদের বর্বরতা। তারা মেয়েটির জামাকাপড়ও ছিঁড়ে ফেলে। এর পর সবাই পালিয়ে যায়।
মেয়েটি বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছয়। ছেঁড়া জামা ও অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটি কোনোমতে বাড়িতে পৌঁছায়। পথে তাকে কেউ সাহায্য করেনি। মেয়েটির অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের পায়ের নিচের মাটি সরে যায়।
পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি জখম ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিশোরীর সঙ্গে অত্যাচারের সময় চেতন নামে কাউকে উল্লেখ করছিল দুর্বৃত্তরা।
১৫ দিন আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন
ভিকটিমের বড় বোন বলেন, “চেতন ঘাডগের সাথে বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনের বিয়েও হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু চেতন যখন জানতে পারে যে তার বোনটি একটি দরিদ্র পরিবারের, তখন সে তাকে ছেড়ে চলে যায়। ১৫ দিন আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বোন।নির্যাতিতার বোন নিগদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর ভিত্তিতে অভিযুক্ত চেতন ঘাডগেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।