চাঞ্চল্যকর সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে বিহারের পূর্ণিয়ায়। ভাইপোর নিজের কাকিমার সঙ্গেই অবৈধ সম্পর্ক ওই মহিলার স্বামী ও গ্রামবাসীরা হাতেনাতে ধরেছে। জানা গিয়েছে মহিলার স্বামী পাঞ্জাবে চাকরি করেন। এরই মধ্যে কাকিমা-ভাইপোর প্রেমের কথা জানতে পারে কয়েকজন। তারা ফোনে মহিলার স্বামীকে বিষয়টি জানান। কাউকে কিছু না জানিয়ে স্বামী গোপনে বাড়িতে পৌঁছে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এর পরই নাকি ঘটেছে নাবালক ছেলে ও এক মহিলার জোরপূর্বক বিয়ের ঘটনা। কেউ একজন এই বিয়ের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি জেলার বনমানখি থানার অন্তর্গত পিপরা গ্রামের। সূত্র অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে ১২ সেপ্টেম্বর। বলা হচ্ছে, গ্রামে বসবাসকারী এক মহিলা তার নিজের স্বামীর বড় ভাইয়ের নাবালক ছেলের প্রেমে পড়েছিলেন। দুজনে গোপনে দেখা সাক্ষাৎ করতে থাকে। দুজনের প্রেম এতটাই বেড়ে যায় যে দুজনেই আস্তে আস্তে খোলামেলা ভাবে দেখা করতে শুরু করে। মহিলার স্বামীও বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি তক্কে তক্কে থেকে দুজনকে হাতে নাতে ধরেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় গ্রামবাসীরা। এরপর ওই নারীর স্বামী ও গ্রামবাসীরা জোর করে দুই জনকে বিয়ে করে। গ্রামবাসীদের ভয়ে কাকিমার সিঁথিতে সিঁদুর দিলো নাবালক ছেলে।
লজ্জাজনক সম্পর্ক
বলা হচ্ছে মহিলার বয়স প্রায় ৪৪ বছর এবং ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ৩০ বছরের। সবচেয়ে বড় কথা নাবালক ছেলেটি ওই মহিলার স্বামীর বড় ভাইয়ের ছেলে। দুজনেই আপন কাকিমা ভাইপো।
৩ সন্তানের মা
ওই নারীর ৩টি সন্তানও রয়েছে। স্বামী পাঞ্জাবে চাকরি করেন। এদিকে মহিলার অবৈধ প্রেমের সম্পর্কে কিছু লোক জানতে পারলে মহিলার স্বামীকে ফোনে জানানো হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে স্বামী গোপনে বাড়িতে পৌঁছে দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত
জেলার এসপি দয়াশঙ্কর জানান, ভাইরাল ভিডিওটি নিশ্চিত হয়েছে। ওই নারীর স্বামীসহ জোর করে নাবালককে বিয়ে দেওয়া অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ তৎপর হয়েছে।