একজন নামকরা প্লাস্টিক সার্জন নিজেই স্ত্রীর উপরে অস্ত্রোপচারের জন্য উপযুক্ত ছুড়ি চাকু নিয়ে বিউটি সার্জারি করলেন! যার কারণে স্ত্রীর চেহারায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি এর চেয়ে ভাল দেখতে বা অনুভব করেননি। প্রায় ২৭ লাখ টাকা মূল্যের এই অস্ত্রোপচার নিজেই করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।
জেরি চিডেস্টার, তার অনলাইন অনুসারীদের মধ্যে ডঃ চিডি নামেই বেশি পরিচিত। ২০২০ সালে, তিনি তার অস্ত্রোপচার অনুশীলন কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। তারপর থেকে, তিনি প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে অগণিত মানুষকে শরীরের পরিবর্তনে সহায়তা করেছেন।
৪০ বছর বয়সী এই ডাক্তার বলেছেন যে তার স্ত্রী মিন্ডি বেশ কিছুদিন ধরে তাকে তার চেহারায় পরিবর্তন করার জন্য জোর দিয়ে আসছিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত তিনি তা মেনে নেন।
তিনি জানান, প্রায় ২৭ লাখ টাকা মূল্যের এই ‘মমি মেকওভার’-এর ৭টি ধাপ রয়েছে। এর মধ্যে স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি এবং উত্তোলন, ফ্যাট গ্রাফটিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও তাকে লাইপোসাকশন, ত্বক টানটান করা এবং পেট ফ্ল্যাট করতে হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে তার অস্ত্রোপচার হয়। সেই অস্ত্রোপচার প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে চলেছিল। এর পর তার স্ত্রী সম্পূর্ণ বদলে যেতে লাগলো। তার চেহারার এই রূপান্তরকে কিছুটা নাটকীয়ও বলা হচ্ছে। ডাঃ চিদ্দি বলেন, অস্ত্রোপচারের মানে এই নয় যে আপনাকে আপনার আগের চেহারা পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হবে। এটির উদ্দেশ্য হল কিছুটা নবজন্ম এর মত। যার পর আপনার নিজের শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা হবে।
ডাঃ চিড্ডি মিন্ডির অস্ত্রোপচার সম্পর্কে বলেন- দুই সন্তানকে এই পৃথিবীতে এনে বড় করতে তিনি যে ত্যাগ স্বীকার স্ত্রী করেছিলেন, এরপর তার শরীর মেরামতে একটু সাহায্য মাত্র করেছি আমি।
চিড্ডি আরও বলেন- অপারেশনের আগে একটু নার্ভাস ছিলাম কারণ স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করতে যাচ্ছিলাম। তবে আমি সব রোগীকে পরিবারের সদস্যের মতো চিকিৎসা করি। তাই অপারেশন টেবিলে যাওয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমি তার অস্ত্রোপচার করেছি যেভাবে আমি অন্য যে কারো করি।
মিন্ডি এবং ডাঃ চিড্ডির তিনটি সন্তান রয়েছে। ১৩ বছরের ছেলে, ১১ বছরের মেয়ে এবং ৫ বছরের আরেকটি দত্তক ছেলে। মিন্ডি তার নতুন চেহারা নিয়ে খুব খুশি। তারা মনে করেন, ডাক্তার স্বামী দারুণ কাজ করেছেন।