বৃষ্টির মধ্যে থানার গেটের সামনেই প্রচন্ড কান্না জুড়ে দিল দম্পতি , পথ চলতি মানুষ এই দৃশ্য দেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি এলাকায়। বাগুইআটি থানা এলাকার কেষ্টপুরের বারোয়ারি তলার বাসিন্দা প্রৌঢ় ওই দম্পতি৷ তাঁদের দাবী , তাঁদের ছেলে নবম শ্রেণির পড়ুয়া সৌভিক দেবনাথ (১৯) গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ৷ সৌভিক বিধান নগর মিউনিসিপ্যালিটি স্কুলের ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার পরই ছাত্রের বাবা তরঙ্গ দেবনাথ এবং মা সুমিত্রা দেবনাথ বাগুইআটি থানায় ডায়েরি করেন৷ এর পাশাপাশি তাদের পরিচিত সমস্ত জায়গায় খোঁজ করেন এবং আত্মীয় ও সৌভিকের বন্ধুদের বাড়িতেও খোঁজ করেন কিন্তু খোঁজ পাননি কোথাও থেকে৷
অবশ্য ওই দম্পতি এও অভিযোগ করেছেন যে , তাদের ছেলেকে খোঁজার ব্যাপারে পুলিশের থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশকর্মীরা উল্টে তারা ছেলে নিখোঁজ এর অভিযোগ নিয়ে বাগুইআটি থানায় এলে তাঁদের সঙ্গে প্রচন্ড দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ৷ তার প্রতিবাদ করতেই ওই বৃদ্ধ দম্পতি থানার গেটের সামনে বৃষ্টির মধ্যেই ধর্ণা দিতে বসে যান৷ প্রবল বৃষ্টিতেই তারা বসে ছিলেন ৷
বাগুইআটি এলাকায় থানার সামনে এই দম্পতির ধর্নার খবর এলাকার মানুষের থেকে পৌঁছে যায় সংবাদ মাধ্যমের কাছে৷ তারপরই সংবাদমাধ্যম সেখানে পৌঁছে তাঁদের থানার ভিতরে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা৷ পুলিশের তরফ থেকে অবস্থা বেগতিক বুঝে তাদের আশ্বাস দেন যে এই নিখোঁজের অভিযোগ নিয়ে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন৷
ওই দম্পতি আরও বলেছেন যে , অনলাইন গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছিল নবম শ্রেণির পড়ুয়া সৌভিক ৷ এমনকি, এই বাবদ বাবা মায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কুড়ি হাজার টাকা খরচও করে ফেলে সে৷ পুলিশকে এই সমস্ত তথ্যই জানিয়েছেন ওই দম্পতি৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন পুলিশের থেকে এমন ব্যবহার পেতে হল ওই দম্পতিকে? কি কারণে প্রথম বারেই ওই দম্পতির অভিযোগ নেননি পুলিশ? প্রশাসনের তরফে অনেক সময় এমন উদাসীনতা দেখা যায়। এখন এটাই দেখার যে ওই দম্পতি তাদের ছেলেকে খুঁজে পান কি না।