বাড়ির কেউ বোঝেনি। সামনে ছিল তার বিয়ে। সেইমতো বাড়ির প্রস্তুতি চলছিল তুঙ্গে। তৈরি হয়ে বিয়ের কার্ড কয়েকজনকে দেওয়ার আছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মেয়েটি। এরপরই প্রেমিকের হাত ধরে ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ তরুণীর!
মধ্যপ্রদেশের টিকমগড়ে হঠাৎ করেই ট্রেনের সামনে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে ঝাঁপ দিয়ে দিলে মানুষ হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার আগে গার্লফ্রেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড একে অপরের হাত ধরেছিল। জানা গিয়েছে মেয়েটির অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেই বিয়ের কার্ড বিতরণের কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই আত্মহত্যা মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামবাসী থানায় খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নামে পুলিশ। এসময় জানা যায় মেয়েটির নাম রজনী। তার বয়স ২১ বছর। তিনি সুধা সাগর রোডে বসবাসকারী চিন্তামন সেনের মেয়ে। অন্যদিকে, ছেলেটি সাগর জেলার বান্দ্রির বাসিন্দা দীপেশ সেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। তার বয়স ২২ বছর। বলা হচ্ছে, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং রজনী অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় দুজনেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসের ১৪ তারিখে ওই তরুণী ওরফে রজনী সেনের বিয়ে ছিল। বাড়িতে বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। অতিথিদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছিলো। রজনীর বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। এদিকে শনিবার বিকেলে রজনী পরিবারকে জানান, বিয়ের কার্ড বিতরণ বাকি আছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে সে একা বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত রজনী বাড়ি না ফেরায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। এরই মধ্যে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান।
এ বিষয়ে ডিএসপি প্রিয়া বলেন, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ব্যাপারটা মনে হয় প্রেমের সম্পর্ক। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। উভয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।