খুব কম সময়ের মধ্যেই বিনিয়োগে বড় লাভ পেতে চান? এই জন্য আগেই খুজে নিতে হবে ঠিক ঠাক বিনিয়োগ অপশন ৷ আপনি যদি ঠিক জায়গায় ইনভেস্ট করেন তবে অবশ্যই পেতে পারেন সুনিশ্চিত লাভ। মাত্র এক বছর বা এর থেকেও কম সময়ের জন্য ইনভেস্ট করে লাভ পেতে পারেন, চলুন জেনেনি বিনিয়োগের এরম পাঁচটি মাধ্যম ৷
এর জন্যে আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে আজ থেকেই ৷ এই সমস্ত স্কিমে বিনিয়োগ করলে মাত্র এক বছরের মধ্যে পেতে পারেন বিপুল টাকার রিটার্ন ৷
অল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে লাভবান হওয়ার লোভে মার্কেট রিস্কের সামনে নিজের আমানতকে দিয়ে দেওয়া ঠিক নয়৷ মার্কেট বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছরের থেকে কম সময়ের যদি ইনভেস্টমেন্টের পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আপনি ইক্যুইটি ফান্ড-কে নিজের বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে ভাবতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনার আমানত সরাসরি মার্কেটের অস্থিরতার দ্বারা প্রভাবিত হবে ৷ অর্থাৎ মার্কেটের পরিস্থিতি ভাল থাকলে লাভের হার বাড়বে কিন্তু মার্কেট পরিস্থিতি কোনও কারণে ভালো না থাকলে আপনার বিনিয়োগে ক্ষতির মুখোমুখি হবেন আপনি ৷ এমনকি ওই সময়ের মধ্যে পরে মার্কেট ভালো হলেও আপনার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না ৷
ফিন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজারদের মতে, আপনার আয় যদি ইনকাম ট্যাক্সের উপরের দিকের স্ল্যাবের অন্তর্ভূক্ত হয় তবে লিকুইড ফান্ডকে বিনিয়োগ আপনার জন্য একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত ৷ এই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করলে ৯০ দিন বা তার কম সময়েই রিটার্ন মেলে ৷ গত তিন মাসের মার্কেট রিসার্চ বলছে, লিকুইড ফান্ড স্কিমে ৯০ দিনেরও কম সময়ে টাকা রেখে ১.৭ শতাংশ হারে রিটার্ন মিলেছে ৷ একমাত্র কম সময়ের মধ্যে ফান্ড কেনা-বেচারও সুযোগ দেয় এই স্কিম ৷ এত কম সময়ে সেভিংস অ্যাকাউন্টের থেকে বেশি সুদ মেলে এই স্কিমেই ৷
বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে বেছে নিতে পারেন শর্ট টার্ম বন্ড ফান্ড স্বল্প সময়ের মধ্যে বড় লাভ পেতে হলে ৷ শর্ট টার্ম বন্ড ফান্ডে বিনিয়োগে পেতে পারেন বড়সড় লাভ ১-৩ বছর মেয়াদী ৷ গত তিন মাসের মার্কেট রিপোর্ট বলছে শর্ট টার্ম বন্ড ফান্ডে বিনিয়োগ করে মাত্র ৯০ দিনে ১.৯ শতাংশ রিটার্ন মিলেছে ৷
স্কিম ম্যাচিওর করার পর এই ধরনের স্কিমে বিনিয়োগ ও রিটার্ন অ্যামাউন্টের উপর ধার্য হয় ১০ শতাংশ কর ৷ তবে এই ফান্ডে বিনিয়োগ অনেক সুরক্ষিত বলেই জানাচ্ছেন অ্যাডভাইজাররা ৷ এই স্কিমে কোনও প্রভাব ফেলে না শেয়ার সূচকের ওঠানামা ৷ ৫.৪ শতাংশ আয় করেছে গত এক বছরের মার্কেট রিসার্চ রিপোর্ট বলছে আরবিটরেজ ফান্ড স্কিম ৷