কোনো অনুষ্ঠানে, জন্মদিনে কি কাউকে উৎসাহ দিতে প্রায়ই হাততালি দেন? এমনিতে এটা বেশ সাধারণ একটা বিষয়। দৈনন্দিন জীবনে মাঝেমধ্যেই আমরা যখন উৎসাহব্যঞ্জক কিছু দেখি না কোনো কিছু শুনি তখন হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেই, বা হাততালি দিয়ে সমর্থন জানাই। কিন্তু আপনি কি জানেন এই হাততালি আপনার শরীরের কত উপকার করছে? এই তথ্য আপনাকে অবাক করবে যে রোজ যদি মাত্র কয়েক মিনিট আপনি হাততালি দেন আপনার শরীরের ভেতরের অনেক অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ আগের চেয়ে সক্রিয় ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। আর যদি আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত আধ ঘণ্টা হাততালি দিতে পারেন, তবে অনেক কঠিন শারীরিক সমস্যা থেকেও পাওয়া যেতে পারে মুক্তি। শুনে অবিশ্বাস হচ্ছে? কিন্তু এটাই সত্যিই হয়।
আসলে হাততালির সাথে জড়িয়ে আছে আকুপ্রেশারের একটি থিওরি যা বেশ চমকপ্রদ। হাততালি দিলে হাতের এমন বিশেষ জায়গায় চাপ পরে যার সাথে শরীরের রক্তচলাচলে যোগ আছে। ফলে রক্ত চলাচল ভালো হয়। সব বয়সী নারী-পুরুষের দেহেই এই কাজ করলে রক্তচলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এমনকি অনেক শারীরিক রোগ সারাতেও প্রতিদিন হাততালি কার্যকর।
আকুপ্রেশারের আসলে চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে অনেক সময় হাতের তালুর নানা অংশে চাপ দেওয়া হয়। কখনো খালি হাতের সাহায্যেই চাপ দেওয়া হয় আবার কখনো একটি বিশেষ ভাবে নির্মীত কাঠি ব্যবহার করে। হাতের নানা পয়েন্টের সাথে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর যোগ আছে। তাই হাতের তালুতে চাপ পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠে। একইভাবে শুধুমাত্র হাততালির দ্বারাই হাতের তালুর বিভিন্ন পয়েন্টে চাপ পড়ে। এতে করে আপনি আকুপ্রেশারের যা উপকার তার সমান উপকার পেতে পারেন।
তাই হাততালি দেওয়ার অভ্যাস করুন।কোনো ভালো খবর, জন্মদিন, আনিভর্সারি ইত্যাদি কিছুতে সকলে মিলে একসঙ্গে কিছুক্ষণ হাততালি দিতে পারেন। আকুপ্রেসার এর মত সবাই মিলে একসঙ্গে এক জায়গায় হাততালি দিলে সেখানে তৈরি হবে এক ধরনের শব্দতরঙ্গ। পাশাপাশি শরীরের সমস্ত স্নায়ুগুলো আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে। এছাড়াও অনুভব করবেন দুই হাতের ক্রমাগত ঘর্ষণের ফলে শরীরের একটা তেজ তৈরী হবে। মনে বেশ একটা ফুরফুরে সতেজ অনুভূতি তৈরি হবে। মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাবেন।