সারা দেশ যেন এক উন্মাদনায় আনন্দে মাতোয়ারা, কারণ দেশের একদিকে যেমন নবরাত্রি অন্য দিকে দূর্গা পুজো। মা দুর্গার কাছে নিজের মনোস্কামনা পূরণ করার জন্য প্রার্থনা করছেন দেশবাসী। মা দূর্গা আমাদের সমস্ত বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন, সমস্ত ঋনাত্বক শক্তির অবসান ঘটান। এ সময় আপনার বাড়ির বাস্তু দোষ যদি থেকে থাকে তাহলে আপনি এই সময় কিছু উপায় কাজে লাগাতে পারেন। এর ফলে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়–
১. মানসিক অস্পষ্টতা ও প্রজ্ঞার দিশা ক্ষেত্র ইশান কোণ অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণকে পূজার্চনার জন্য শ্রেষ্ঠ মনে করা হয় বাস্তু বিজ্ঞান অনুযায়ী। বাড়িতে ব্যাপ্ত সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয় যদি এই স্থানে মহিষাশুরমর্দিনীর আরাধনা করা যায়।
২. সুখ, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনার প্রতীক মনে করা হয় ঘটকে ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী। সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্র ও তীর্থের বাস ঘটের মধ্যে। জল এবং ঈশ্বরের স্থা্ন মনে করা হয় ইশান কোণকে বাস্তু অনুযায়ী। সর্বাধিক ইতিবাচক শক্তি এখানে বিদ্যমান। জল তত্বের সঙ্গে জড়িত বাস্তু দোষ দূর হয় এই স্থানে ঘট রাখলে এবং লাভ করা যায় সুখ-সমৃদ্ধি।
৩. দুর্গার ক্ষেত্র মনে করা হয় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিককে। পুজো করা উচিত পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মুখ করে। শক্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয় পূর্ব দিককে বা্স্তু মতে। প্রজ্ঞা জাগৃত হয় এ দিকে মুখ করে পুজো করলে। আবার ভক্তের মন এবং পারিবারিক কলহ শান্ত হয় দক্ষিণ দিকে মুখ করে পুজো করলে।
৪. বাড়ির প্রবেশদ্বারে আম বা অশোকের পাতা লাগালে দুর্গা পুজোয় নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। তবে শীঘ্র সরিয়ে দিন এই পাতা শুকিয়ে গেলে।
৫. বাড়িতে আগ্নেয় অর্থাৎ দক্ষিণ পূর্ব দিকে অখণ্ড প্রদীপ রাখা শুভ দুর্গা পুজোর সময়। অগ্নি তত্বের প্রতিনিধিত্ব করে এই দিক। তাই আগ্নেয় কোণের বাস্তু দোষ দূর হয় এ দিকে প্রদীপ রাখলে এবং লাভ করা যায় আটকে থাকা টাকা। এ ছাড়া প্রদীপ আগ্নেয় কোণে রাখলে শত্রুদের পরাজিত করা সম্ভব হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধির বাস হয় পরিবারে।
৬. ঠাকুরঘরে শুদ্ধ ঘিয়ের প্রদীপ এ সময় প্রজ্জ্বলিত করলে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ হয় বাড়িতে। দূর হয় অশুভ শক্তি এবং বাড়ির সদস্যরা প্রসিদ্ধি লাভ করে। রোগ ও কলহের অবসান ঘটে এর প্রভাবে।