নামীদামি ব্র্যান্ডের ভুয়ো প্রডাক্ট বাজারে প্রায়শই দেখা যায়। এক ঝলকে এই ধরনের প্রডাক্ট দেখে, তা আসল নাকি নকল তা বুঝে ওঠার জো নেই! তার সবথেকে বড় কারণ হল, আসলের হুবহু নকল করেই নামিয়ে দেওয়া হয় সেই নকল প্রডাক্ট। আর সেখানেই বেমালুম বোকা বনে যান কাস্টোমাররা। একই রঙ, ডিজাইন, লোগো– সব প্রায় আসল প্রডাক্টের সঙ্গে মিলিয়ে গ্রাহককে আসল-নকল চেনার সময়টুকুও দেওয়া হয় না। আর এই ধরনের নকল প্রডাক্টের জন্যই কোম্পানির বিক্রি কমতে শুরু করে।
খুব সম্প্রতি এই ধরনের ভুয়ো প্রডাক্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রিয় স্পিকার ব্র্যান্ড Harman। এমনকী কোম্পানির JBL স্পিকারের ভুয়ো প্রডাক্ট খুঁজে বের করতে পুলিশের সাহায্য পর্যন্তও নেওয়া হয়েছে। আর খবর পাওয়া মাত্রই মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে দুটি মোবাইল গুদামে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভুয়ো JBL স্পিকার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়। কয়েক দিন আগে কলকাতাতেও একই ধরনের তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
মুহূর্মুহ JBL ভুয়ো স্পিকার্সের এমনতর রমরমা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই এক দিকে যেমন কোম্পানি চিন্তিত, আর এক দিকে ঠিক তেমনই উদ্বিগ্ন JBL স্পিকারের ভক্তরা। আর সেই কারণেই কী ভাবে ভুয়ো JBL প্রডাক্ট সহজে চিনে নেবেন, সেই টোটকা জানানো হয়েছে Harman। আপনিও জেনে নিন সেই টোটকা।
- প্যাকিং বাক্স ভালো করে খুঁটিয়ে দেখুন। সেখানে লোগোতে কোনও পার্থক্য থাকলে বুঝতে হবে তা ভুয়ো প্রডাক্ট। দেখে নিন বাক্সের রংও।
- সাধারণত, ভুয়ো প্রডাক্টে কম দামে মার্কেটে বিক্রি করা হয় বলেই অপেক্ষাকৃত খারাপ ভাবে প্যাকিং করা হয়। সেটাও একটা সংকেত বৈকি!
- এছাড়াও, ভুয়ো প্রডাক্টের বাক্সে সার্টিফিকেট, ঠিকানা, ট্রেডমার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখা যায় না।
- পাশাপাশিই আবার লোগোর অবস্থানেও থাকে পার্থক্য। আসল লোগোর থেকে নকলে রঙের পার্থক্য খুবই ভালো করে বোঝা যায়।
- ভুয়ো প্রডাক্টের প্যাকেজের ওজন আসল প্রডাক্টের থেকে কম হয়। প্রডাক্ট থেকে কেমিক্যালের গন্ধও পাওয়া যায়। এছাড়াও, অনেক সম কম দামের রং ব্যবহৃত হয়।
- অনলাইনে JBL স্পিকার কেনার আগে সেলারের রিভিউ ভালো করে পড়ে নিন। কোনও রকম সন্দেহজনক রিভিউ চোখে পড়লে, সেই সেলারকে এড়িয়ে চলুন।