Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

কোভিড টেস্টের বিল হাতে পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ স্বামী স্ত্রীর! খরচ হয়ে গেছে নাকি ৪০ লক্ষ টাকা

গত দেড় বছরের অধিক সময় ধরে পৃথিবীর বুকে থাবা বসিয়েছে করোনা মহামারী। যেন আতঙ্কের আরেক নামই হয়ে দাড়িয়েছে করোনা। সামাজিক বিধি মেনে চলা, মাস্ক পড়া এই সব কিছু করেও সংক্রমিত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। করোনা চিকিৎসা করতেও বহু ব্যায় করতে হয়েছে পৃথিবীর বহু দেশের মানুষকে। ইতি মধ্যে কারো শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে কিনা সেই বিষয়ে সুনিশ্চিত হতেও করোনা পরীক্ষার নানা উপায় আবিষ্কার করা চলছে। চিকিৎসাবিদ থেকে বিজ্ঞানীরা সকলেই চেষ্টা চালাচ্ছেন কোভিড টেস্ট থেকে শুরু করে ভ্যাকসিন, করোনা চিকিৎসার যাবতীয় কিছু যাতে সুলভ মূল্যে পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে উঠে এল এমন একটা ঘটনা যা শুনলে তাজ্জব হতে হয় বইকি। বাংলা সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছে এমনই একটি খবর।

সম্প্রতি কোভিড পরীক্ষা করিয়েছিলেন আমেরিকার ডালাসের বাসিন্দা ট্র্যাভিস ওয়ার্নার। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করানোর পর যথা সময়ে রিপোর্টও হাতে পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই করোনা পরীক্ষার খরচ বাবদ বিল হাতে পেয়েই ভিরমি খেলেন স্বামী স্ত্রী। প্যাথলজি লাবের রসিদ হাতে পেয়েই জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়েছিল তাদের। কারণ? প্যাথলজি লাব থেকে যে রসিদ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল তাতে পরীক্ষার মোট খরচ বাবদ বিলের মোট মূল্য লেখা ছিল ৫৪ হাজার ডলার (ভারতীয় টাকায় যা দাড়ায় ৪০ লক্ষ টাকায়)!

উপসর্গ থাকায় কোভিড পরীক্ষার জন্য লিউইসভিলে কিছুদিন আগে একটি প্যাথোলজি ল্যাবে গিয়েছিলেন ট্র্যাভিস। সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও ছিলেন। তাঁরা দুজনই করোনা পরীক্ষা করান সেখানে। ট্র্যাভিস জানান, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু তাঁকে সেই পরীক্ষার বিল যখন হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় সেই বিল দেখে ট্র্যাভিস বাকরুদ্ধ হয়ে যান।

একটি কোভিড পরীক্ষার করার জন্য নাকি এত টাকা! ৪০ লক্ষ টাকা! বিল হাতে পেয়েই দিশাজ্ঞানহীন অবস্থা হয় তাঁর। সেইদিন তার স্ত্রী সঙ্গে যাওয়ায় একই দিনে একই প্যাথোলজি ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষা করান তাঁর স্ত্রী। সেই কোভিড টেস্টের বিল আসে ২ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা)।

হতভম্ব অবস্থা কাটিয়ে উঠেই ওই প্যাথোলজি ল্যাবের কাছে কেন এত বিল হল তা নিয়ে জবাব চান ট্র্যাভিস। আর স্বামী স্ত্রী দুজনের করোনা পরীক্ষার জন্য দু’রকমের আলাদা আলাদা বিল কী ভাবে হল তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়তেই ওই প্যাথোলজি ল্যাব জানায়, বিল তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হওয়াতেই এমন কাণ্ড ঘটেছে।

Related posts

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই সুস্থ হচ্ছে দেশ, কমছে মৃত্যু এবং অ্যাক্টিভ কেস

News Desk

থাইল্যান্ডে ৪ কোটির লটারি জিতলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী, তারপর যা করলেন আপনি বিশ্বাস করবেন না

News Desk

মদের ঘোরে যুবতী আটকে গেল ওয়াশিং মেশিনে, বার করতে ডাক পড়লো দমকলের

News Desk