নানা ধরনের শিল্প ভাস্কর্য ও তাদের সম্পর্কিত নানা ধরনের গল্প প্রায় সম্পূর্ণ ভারতবর্ষ জুড়ে রয়েছে। কোনার্কের সূর্য মন্দির অন্যতম যার মধ্যে। সূর্যের আরেকটি নাম হলো আর্ক। এই কোনারকের মন্দির উত্তর-পূর্ব ভারত বর্ষের উড়িষ্যা রাজ্যের পুরি জেলার কোনার্ক নামক স্থানে অবস্থিত। পূর্বগঙ্গ রাজ বংশের রাজা নরসিংহ দেব ১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দির স্থাপন করেন। একটি রথের আকৃতিতে সম্পূর্ণ মন্দিরটি বানানো। মন্দিরটির মূখ্য ভাগ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সময়ের সাথে সাথে।
মন্দিরের কাজ ১২৩৮ শতাব্দি থেকে শুরু হয়, সেই সময়কার রাজা নরসিংহ দেব এর উদ্যোগে। ১২০০ শ্রমিকের ১২ বছরের মন্দিরটি শেষ করতে হবে রাজা নরসিংহ দেবের আদেশ ছিল। যেন কম বেশি না হয় একটি শ্রমিক বা একটি দিনও। শ্রমিকদের না হলে প্রাণহানি হবে। একজনের স্ত্রী ছিলেন গর্ভবতী এই বারোশো শ্রমিক এর মধ্যে। একজনের স্ত্রী ছিলেন গর্ভবতী এই বারোশো শ্রমিক এর মধ্যে। তার যে একটি ছেলে হয়েছে সেই ব্যাক্তির দুর্ভাগ্য এবং ইতিমধ্যে তা তিনি জানতে পারেনি সে ১২ বছরের হয়ে গেছে। এই দিকে তার বন্ধুরা খুব মজা করে তার ছেলে ধর্মদাস তাকে নিয়ে। তার খুব দেখতে ইচ্ছা করে মাকে। একদিন জোর করে মায়ের কাছে তার বাবার পরিচয় জেনে মায়ের অনুমতি নিয়ে পরিচয় পত্র হিসাবে এক বিশেষ গাছ নিয়ে বাবার জন্য বেরিয়ে পরল সে 12 বছরের বাচ্চা। কোন বাবা তার ছেলেকে 12 বছরে প্রথমবার দেখে খুশি হবে না। কিন্তু তখন খুব সংকটে ধর্মদাসের বাবা। কোন প্রকারেই মন্দিরে মঙ্গল ঘট বসানো যাচ্ছে না আর মাত্র ৭ দিন বাকি। একবার চেষ্টা করার অনুমতি চাইলো ছেলে, বাবার কষ্ট দেখে। ছোট্ট বাচ্চাটার উপর ছেড়ে দিল বাবা উপায় না দেখে। সফল হল ধর্মদাস। কিন্তু ১২ জন শ্রমিক এর থেকে বেশি হতে পারবে না রাজার আদেশ। কিন্তু প্রান্ তো রক্ষা হলো না, ১২০১ হয়ে গেল।
বারোশো শ্রমিকের প্রাণ বাঁচাতে মন্দিরের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করল ছোট বাচ্চাটি। অপবিত্র হলো মন্দিরটি এবং সেখানে কোন পূজা হয়নি আজ পর্যন্ত। এমনকি মন্দিরে মানা নেই জুতো পড়ে ঘুরতে। এই মন্দিরে কোনো বিগ্রহ নেই সূর্যদেবের মন্দির হওয়া সর্তেও। রাত নামলে আজও আর্তনাত শোনা যায় এই মন্দিরের চারপাশে। তাই কাউকে রাতে যেতে মানা করা হয় আজও এই মন্দিরে।