ধনেপাতা ভীষণ পরিচিত একটি রান্নার সামগ্রী। এই পাতা সামান্য ব্যাবহারে রান্নার স্বাদ গন্ধ বেড়ে যায় দ্বিগুন। শুধু বাঙালি রান্নাতেই এর ব্যাবহার হয় এমনটা নয়, ভারতের নানা প্রদেশের রান্নায়ও ধনেপাতার ব্যবহার রয়েছে বহু। এর সুগন্ধ যেকোনো খাবারের আঘ্রাণ যেন বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ বেশী। খাবারে এর ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি জানি। ধনেপাতা রান্নায় হোক কি চাটনিতে খেতে যেমন দুর্দান্ত তেমন রয়েছে দারুন সব স্বাস্থ্য উপকারিতা।
অধিকাংশ মানুষই কিন্তু ধনে পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা বিষয়ে না জেনেই নিয়মিত বিভিন্ন রান্নায় এটির ব্যবহার করে আসছে। এতে রয়েছে ১১ ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল, উপকারী অ্যাসিড (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যা ভিটামিন ‘সি’ নামেই আমরা জানি), ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য উপকারী পদার্থ। ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ফাইবার, মিনারেলস যেমন ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘কে’, ফসফরাস, ক্লোরিন এবং প্রোটিন। তাই ধনেপাতাকে সাধারণ কোনো পাতা ভেবে নেবেন না। জেনে নিন কি কি হয় ধনে পাতা খেলে….
১) রোজ ধনেপাতা বাটা বা ধনেপাতার রস খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিডনির মধ্যে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক পদার্থ এবং বিষাক্ত উপাদান প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
২) স্মৃতিশক্তি ভালো করতে এবং মস্তিস্কের নার্ভকে সচল রাখতে ভীষণ উপকারী ধনে পাতা।
৩) এই পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথাসহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা কম করতে ভীষণ কার্যকরী।
৪) ধনে পাতার মধ্যে রয়েছে ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘এ’ যা ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে করতে ভীষণ ভাবে সক্ষম।
৫) ধনে পাতা দেহের খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা ভীষণ ভাবে বেড়ে যায়। হজম শক্তি বাড়াতে ধনে পাতা বেশ উপকারী, যকৃতকে কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হয়ে যায় ধনে পাতা খেলে।
৬) ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং বা টক্সিন বার করতে সক্ষম, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এরা বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা যেমন একজিমা, ত্বকের শুষ্কতা এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখতে ধনে পাতার উপকারিতা প্রচুর।
৭) মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন রক্তসঞ্চানল ভাল হওয়ার জন্যে ধনেপাতা খেলে উপকার পাওয়া যায়। ধনে পাতার মধ্যে রয়েছে আয়রন যা রক্তঅল্পতা সারাতেও বেশ উপকারী।