বাতিল খবরের কাগজ আর ছেঁড়া পলিথিনে তৈরি ঘরে ঢুকে পুলিশের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। ঘরটি বিরজুচন্দ্র আজাদ নামের এক ব্যক্তির। কয়েক দিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে একটি দুর্ঘটনায়। তাঁর ঘরে গিয়েই পুলিশের চক্ষু ছানাবড়া।
বিরজুর ঘর থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৮.৭৭ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র। একটা নয়, বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে সেই টাকা রেখেছিলেন তিনি। তবে বেশির ভাগটাই ফিক্সড ডিপোজিট।
মুম্বইয়ের একটি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া বিরজুর বাড়িতে দেড় লক্ষ টাকা পাওয়া গিছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এগুলোর সবই কয়েন।
পুলিশ জানায়, বিরজুর জরাজীর্ণ এক কক্ষের ঘরে যখন পুলিশকর্মীরা প্রবেশ করেছিলেন, তার থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁদের বেরোতে হয়। কারণ,আইনানুযায়ী, ওই ঘর থেকে প্রাপ্ত টাকার সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতেই তাঁদের ওই সময় ব্যয় হয়। প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মতো কয়েনের জঙ্গলে বসেই তাঁদের টাকা গুনতে হয়।
বিরজু দক্ষিণ-পূর্ব মুম্বইয়ের গোবন্দীর একটি বস্তিতে বাড়িতে একা থাকতেন। তিনি একটি ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড রেখে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর দুর্ঘটনার পরে পুলিশ তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ করতে গিয়ে গোবন্দীর বস্তিতে ওই ঘরটির সন্ধান পায়। সেখানে গিয়ে বিরজুর সম্পদে পুলিশের হোঁচট খাওয়ার মতো অবস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে,স্থায়ী আমানতগুলি নিরাপদে রাখতে এ বার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। একই সঙ্গে কোনো আত্মীয় বা পরিবারের সদস্যদেরও সন্ধান করা হচ্ছে।